চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রামের ১৪ জনের পরীক্ষায় করোনা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ এপ্রিল, ২০২০ | ২:৫৭ পূর্বাহ্ণ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৬ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। তবে সুখের খবর হচ্ছে, এ ৫৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের কোন রোগীই পাওয়া যায়নি। এছাড়া চট্টগ্রামের বিশেষায়িত ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে আসলেও তাদের মধ্য থেকেও কারো শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকলের সচেতনতায় এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা সম্ভব হবে। তাই স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুসারে চট্টগ্রামের সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের। তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৪ জনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরীক্ষা করা হয়েছে। যা বিশেষায়িত এ সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালের সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষা। তবে তাদের কারও শরীরেই করোনার সংক্রমণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ১৪ জনসহ এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে সর্বমোট ৫৬ জনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যদিও এদের কারোরই এ ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।
স্বাস্থ্য দপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর পূর্বকোণকে বলেন, ‘একদিনে চট্টগ্রামে এত সংখ্যক পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের কারো শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। সকলে সতর্ক ও সচেতন হলে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে আসবে। তাই অবশ্যই সরকারের ও স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া সকল নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ এ চিকিৎসকের।’
এদিকে, আজ থেকে চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে করোনা উপসর্গ সন্দেহ ব্যক্তিদের শরীর থেকে স্থানীয় পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে করে কোন ব্যক্তিকে হাসপাতালে আসতে হবে না। বরং উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য বিভাগের গঠিত স্বাস্থ্য টিম করোনা সন্দেহ ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করবেন। যার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকল সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। একই সাথে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় পিপিইসহ বিভিন্ন সরঞ্জামও পাঠায় স্বাস্থ্য দপ্তর।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এখন থেকে প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট