চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

আইসিইউ-ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা ছাড়াই চট্টগ্রামে ‘আইসোলেশন প্রস্তুতি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ এপ্রিল, ২০২০ | ৮:৩০ অপরাহ্ণ

কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামে আইসোলেশনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে দুটি হাসপাতাল। এগুলোর কোনোটিতেই আইসিইউ-ভেন্টিলেটর সুবিধা নেই। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য এর মধ্যে পাঁচটি ভেন্টিলেটর সম্পন্ন একটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) স্থাপনের সিদ্ধান্ত হলেও সেই কাজ শেষ হতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।

তাছাড়া এই হাসপাতালে আইসিইউকে কাজ করার মতো চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানও নেই। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও নেই। অপরদিকে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) করোনাভাইরাস শনাক্তের সুযোগ রয়েছে। তবে সেখানে আইসিইউ নেই।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দুটি হাসপাতালেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকসহ আইসিইউ প্রয়োজন। পাশাপাশি হাসপাতাল দুটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি করে পূর্ণাঙ্গ দল থাকা প্রয়োজন। তা নাহলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না।

চট্টগ্রামের আইসোলেশনের জন্য নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ১০০টি শয্যা ও সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডির ৫০টি শয্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর সিআরবি এলাকার রেলওয়ে হাসপাতালের ৫০টি শয্যা রাখা হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুইদিন আগে চিঠি দিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঁচটি ভেন্টিলেটর সম্পন্ন আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের কথা জানানো হয়।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, ভেন্টিলেটর স্থাপনে সাধারণত দুই সপ্তাহ সময় লাগে।

সিভিল সার্জন বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১০টির মধ্যে চারটি আইসিইউ বেড আলাদা করতে বলা হয়েছে। বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে পাঁচটি ভেন্টিলেটরসহ ১০টি আইসিইউ বেড আছে। সেগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া অন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বলেছি।

এদিকে বিআইটিআইডির এক চিকিৎসক প্রশ্ন তুলেছেন, এখানে করোনাভাইরাস শনাক্তের সুযোগ আছে কিন্তু কোনো আইসিইউ নেই। তাহলে যেসব রোগী গুরুতর শ্বাসকষ্টে ভুগবেন তাদের কিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হবে? এই প্রশ্নের ‍উত্তরে ভরসা শুধুই চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ।

আজ বুধবার (১ এপ্রিল) সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দৈনিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে এই দুটি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ মোট ১৭টি হাসপাতালের ৩১৫টি শয্যা প্রস্তুত আছে।

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট