চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চালের মোকামে মৌসুমী ক্রেতার ভিড়

বেচাকেনা কম থাকলেও কমেনি চালের দাম

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

১ এপ্রিল, ২০২০ | ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চালের পাইকারি মোকামে বেচাকেনা কম। অর্থাৎ খুচরা ব্যবসায়ীদের সংখ্যা খুবই কম। বেচাকেনা কম থাকলেও কমেনি চালের দাম। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। চালের মোকামে খুচরা দোকানি না থাকলেও মৌসুমী ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, রাজনৈতিক নেতারা কর্মহীন, দরিদ্র্য-অসহায় লোকদের বিলি-বন্টনের জন্য বিতরণের জন্য চাল কিনছে মৌসুমী ক্রেতারা। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. জাফর আলম পূর্বকোণকে বলেন, ‘বাজারে এখন ক্রেতা কম। নগরীর চাকরিজীবী, ভাসমান মানুষের বেশির ভাগ গ্রামে ফিরে গেছে। খুচরা ক্রেতারা এখন বাজারে আসছে না। চালের প্রয়োজন হলে ফোন করে দিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তবে স্থায়ী ক্রেতা কমে গেলেও মৌসুমী ক্রেতা বেড়েছে। বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ অসহায়দের বিলি-বণ্টনের জন্য প্রচুর চাল কিনছে। এদিকে, চালের বাজারে স্থবিরতা বিরাজ করলেও কমে চালের দাম। গত সপ্তাহের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। করকরোনোভাইরাস আতঙ্কে গত সপ্তাহে চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। বিশেষ করে গরিব ও মধ্যবিত্তশ্রেণির চাল বলে খ্যাত আতপ ও সিদ্ধ চালের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায়। প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযানের পরও চালের দাম তেমন কমেনি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটা আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৬শ টাকা থেকে ১৭শ টাকা দরে। মোটা সিদ্ধ বিক্রি হচ্ছে ১৬শ টাকায়। বেতি-২৮ চাল (দিনাজপুর) ২২শ-২৩শ টাকায়। স্থানীয় বেতি-২৮ বিক্রি হচ্ছে ১৮শ টাকায়। মিনিকেট (দিনাজপুর) ২৩শ টাকা, স্থানীয় ২২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিরাশাইল মানভেদে ২৫শ টাকা থেকে ২৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নূরজাহান সিদ্ধ দুই হাজার টাকা থেকে ২০৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানায়, বর্তমানে চাহিদা কম থাকায় মজুদও কম রয়েছে। এছাড়া গাড়িভাড়া ৮-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। বাড়তি গাড়ি ভাড়ার চাপ পড়বে চালের উপর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও চাক্তাই ব্যবসায়ীদের কাছে প্রচুর চাল মজুদ ছিল। গেল সপ্তাহে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। পুরোনো মজুদের চাল বিক্রি করে নতুন করে বড় মজুদ করেনি অনেক ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রশাসনের অভিযানের ভয়ে অনেক ব্যবসায়ী চাল মজুদ করেনি। এখনো পুরোনো মজুদের চাল বিক্রি করছেন। এছাড়া চালের দাম কমে গেলে লোকসান আতঙ্কে নতুন করে চাল আসছে না পাইকারি মোকামে। ব্যববসায়ীদের দাবি, চালের মজুদ কমে যাওয়া ও মানুষের হুড়োহুড়িতে বাজার অস্থির হয়ে ওঠেছিল। এখন ক্রেতার চাপ কম। চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি শান্তু দাশগুপ্ত বলেন, বাজারে ক্রেতাদের চাপ নেই। বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন বলেন, বেচাকেনা কম। বাজার স্থবির হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে বাজার অস্থির ছিল। দামও বাড়তি ছিল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট