চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচি

বিজ্ঞপ্তি

৩০ মার্চ, ২০২০ | ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

 

করোনাভাইরাসে এখন পুরো বিশ্ব আক্রান্ত। বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীব্যাপী এই মারণঘাতী ব্যাধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ধারবাহিকতায় বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান ও চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান মাহমুদ চৌধুরীর একক প্রচেষ্টায় এ ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা প্রচারের পর থেকেই এলাকার জনসাধারণকে সতর্ক ও সচেতন করার জন্য এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সচেতনতামূলক ব্যানার টাঙানো হয়।

আবাসিক এলাকার জামে মসজিদে প্রথমেই ভিতরে এবং বাহিরে প্রতিদিন জীবাণুনাশক স্প্রে মাধ্যমে জীবাণু প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি ওয়াক্তে মুসল্লীদের মসজিদের ভিতরে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মাধ্যমে সবার হাত পরিষ্কার করে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করনো হচ্ছে এবং মসজিদের প্রধান গেইটে এলাকার সকলের জন্য সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কারকরণের জন্য কলযুক্ত বেসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এলাকায় যে সকল দোকান খোলা রয়েছে তার সম্মুখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার জন্য চিহ্ন অঙ্কন করে দেয়া হয়েছে। এতে করে কেনাকাটার সময় এলাকাবাসীগণ নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে সচেষ্ট হচ্ছেন। শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজের সময় আগত সকল মুসল্লীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন বিশেষায়িত গাড়ির মাধ্যমে এলাকার প্রতিটি সড়ক, উপসড়ক ও বাড়ির গেইটের সামনে জীবাণুনাশক ওষুধ মিশ্রিত পানি স্প্রে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এলাকায় বিভিন্ন জনসমাগম বন্ধের জন্য প্রতিনিয়ত মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে।

থানা প্রশাসনের সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে এলাকায় জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড জোরদার করা হয়েছে। উদ্যোক্তা হাসান মাহমুদ চৌধুরী ঢাকায় অবস্থান সত্ত্বেও এসব কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করছেন এবং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও কার্যলায়ের সহকারীরা দিনরাত ২৪ ঘন্টা এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছেন। এ জন্য জনাব হাসান মাহমুদ চৌধুরী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতে এক সাথে থেকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

হাসান মাহমুদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার জনের জন্য ২০ দিনের পরিমাণ খাদ্য রাউজান তাঁর নিজের বাড়িসহ এই আবাসিক এলাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বিতরণের জন্য পাঠিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতি জনের জন্য ৪ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি চিড়া, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তেল, লবণ ও জীবাণুনাশক ডেটল সাবান। একইসাথে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিজেকে সতর্ক ও সচেতন এবং অন্যকেও সচেতন করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।-বিজ্ঞপ্তি।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট