চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পটিয়ার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের দিনমজুররা পেল ১০ দিনের খাবার

অনলাইন ডেস্ক

২৮ মার্চ, ২০২০ | ৭:০৩ অপরাহ্ণ

পটিয়া উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের অর্ধশতাধিক পরিবারের ২১৫ জন দিনমজুর, কাঠুরে, রিকশাচালক ও অসহায় মানুষকে সহায়তা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা পাহাড়ী অঞ্চলের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে অসহায় এসব মানুষের হাতে তুলে দেন আগামী দশ দিনের খাবার। এছাড়া স্থানীয় স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতন চত্বরে স্থানীয় লোকজনদের করোনা বিষয়ক সামাজিক দূরত্ব বিষয়ে সচেতন করেন ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা। উপস্থিত সকলকে ইট দিয়ে চিহ্নিত করে তিন ফুট দূরে দূরে প্রত্যেককে অবস্থান করে তাদের হাতেও তুলে দেয়া হয় ত্রাণ সামগ্রী। এসময় তারা ইটের চিহ্নিত তিন ফুট দূরত্বে স্থান বজায় রখে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করেন।

প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ১০ কেজি চাল, সাথে ডাল, তেল, লবণ, আলু বিতরণ করা হয়। তারা মূলত দিনমজুর ও হোটেল রেস্টুরেন্টে লাকড়ি সরবরাহের কাজ করে থাকে। করোনা সংকটের কারণে প্রত্যেকেই ঘরে অবস্থান করছে ও আয় ছাড়া কষ্টে আছে।

ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বপ্ন নগর বিদ্যানিকেতনের উদ্যোক্তা ধ্রুব জ্যোতি হোড়, গনমাধ্যমকর্মী আহমদ উল্লাহ, নজরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি মেম্বার কামাল উদ্দিন, মহিলা মেম্বার সেলিনা আক্তার, স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক সুজা আল মামুন, পটিয়া রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সমন্বয়ক নয়ন শর্মা প্রমুখ।

এ প্রসঙ্গে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সব নাগরিককে ঘরে থাকতে বলেছেন। দিনমজুর থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা, কাঠুরে, যাদের এক দিন আয় না হলে চাল কেনার টাকা জোটে না, তাদের জন্য ঘরে থাকা সত্যিই বড় দুস্কর। নিম্ন আয়ের এসব মানুষের ঘরে থাকার উপায় নেই। জীবন-জীবিকার তাগিদে পথে যাতে নামতে না হয় তার জন্য জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে। এ অঞ্চলের অর্ধশত পরিবারের ২১৫ জন সদস্যদের মাঝে আগামী এক সপ্তাহের খাবার তুলে দেয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিন পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৯শত ছিন্নমূল মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ শেষ করা হবে।’

তিনি আরোও বলেন, ‘খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পর তাদেরকে আরো আশ্বাস দেওয়া হয় যে, প্রয়োজন হলে তাদেরকে আরো সহায়তা দেয়া হবে। তারা করোনা সংকট চলাকালীন ঘরে অবস্থান করবে বলে একমত পোষণ করেন।’

 

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট