চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সড়ক জনশূণ্য, সরব অলি-গলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ মার্চ, ২০২০ | ১১:১১ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে সারাদেশে সরকারিভাবে টানা দশ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। একইসাথে জরুরি কোন কাজ না থাকলে ঘর থেকে বের না হওয়ারও সতর্কবার্তা দেয়া হয়। এতে করে অঘোষিত ‘লকডাউন’র কারণে নগরবাসী এখন পুরোপুরি গৃহবন্দি। নগরীর সড়কগুলোতে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহনও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম কর্মী ও জরুরি পণ্যের গাড়ি ছাড়া নেই কোন যানবাহনও। নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলো যেন চারদিকে খাঁ খাঁ করছে।

তবে এর বিপরীত চিত্র নগরীর অলিগলিগুলোতে। ব্যস্ততম সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও অলি-গলিতে এখনো মানুষের আড্ডা আর জমায়েত বন্ধ হয়নি। চারদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আতঙ্ক বিরাজ করলেও অনেক অলি গলিতে প্রশাসনের নজরে না থাকার দিনভর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

অন্যদিকে, আজ শুক্রবার (২৭ মার্চ) জুমার নামাজের সময় মাসজিদের আশপাশে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও এর আগ-পরে রাজপথ ছিল শূন্য। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নগরী ঘুরে এমনটিই দেখা গেছে। নগরীর মূল সড়কগুলোতে কোন গণপরিবহণই চোখে পড়েনি। তবে হাতেগোনা কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি চোখে পড়লেও যার অধিকাংশই ছিল জরুরি সেবায় নিয়োজিত কাজে। এর বাইরে নগরীরর মোড়ে মোকে কিছু রিকশা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গেছে। মানুষের আনাগোনাও চোখে পড়েনি মূল সড়কগুলোতে।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ সব ধরনের গণপরিবহন। দূরপাল্লার কোনো বাসও চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি। এতে নিরব-নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে নগরে। নগরীর বহদ্দারহাট, জিইসি, লালখানবাজার, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ এলাকায় জরুরি পণ্যবাহী গাড়িও তেমন চোখে পড়েনি।

অপরদিকে, এই ভাইরাসের সংক্রামণ এড়াতে জোরদার করা হয়েছে সেনাবাহিনীর টহল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও টহল জোরদার রয়েছে। বিদেশফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার পাশাপাশি একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি চলাচল, বাজার মনিটরিংসহ সকল দিকেই নজর রাখছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও।

 

 

 

পূর্বকোণ/রাজু-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট