করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সরকারের নির্দেশ পালনে বাধ্য করার জন্য কাজ অব্যাহত রখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল আশরাফুল হাসান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী (ভূমি) কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী আজ শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, খুলশী বাকলিয়া, ডবলমুরিং, বন্দর, ইপিজেড, চকবাজার, বায়েজিদ, সদরঘাট, কোতোয়ালী, হালিশহর, পাহাড়তলী ও আকবর শাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সাতটি দোকান ও দুটি গাড়িকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সকালে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম নগরীর ইপিজেড ও পতেঙ্গা থানাধীন স্টিলমিল বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পণ্যের মূল্য তালিকা না টাঙিয়ে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে ইপিজেডের এক কাচাঁবাজার ব্যবসায়ীকে এক হাজার, স্টিলমিল বাজারের এক লেবু ব্যবসায়ীকে দুই হাজার ও আরেক খুচরা ব্যবসায়ীকে পাঁচশ’ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে এলাকা গুলোত অবস্থান নেয়া বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত আছে কিনা তা তদারকি করেন তিনি।

বিকেলে বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল আশরাফুল হাসান নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বালুরটাল ও বাকলিয়া থানাধীন দেওয়ান বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নিষিদ্ধ সময়ে ইট-বালির দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে বালুরটাল এলাকার আবদুল করিমকে এক হাজার ও দেওয়ান বাজারে মূল্য তালিকা না টাঙিয়ে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে নিউ সাতকানিয়া স্টোরকে এক হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে এলাকাগুলোত অবস্থান নেয়া বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত আছে কিনা তা তদারকি করেন তিনি।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক একইদিন সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন রুমঘাটা, টেরিবাজার ও কোরবানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থান নেয়া বিদেশফেরত কয়েক ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত আছে কিনা তা তদারকি করেন। এ সময় তিনি বিদেশফেরত বাংলাদেশির সাথে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে কথা বলেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এদিকে, সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী নগরীর উত্তর কাট্টলী ও অলংকার মোড়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে উত্তর কাট্টলী এলাকার দুই সেলুন ব্যবসায়ীকে চার হাজার, অলংকার মোড়ে রেন্ট-এ কারে ১২ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তিনশ টাকা করে তিন হাজার ৬শ’ টাকা এবং একটি লরি করে ছয় জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যেককে তিনশ টাকা করে এক হাজার ৮শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে এলাকাগুলোত অবস্থান নেয়া বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত আছে কিনা তা তদারকি করেন তিনি।

পূর্বকোণ/এন-আরপি