চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আমদানি-রপ্তানি বাজারে নজর রাখতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ

পূর্বকোণ ডেস্ক

২৪ মার্চ, ২০২০ | ৮:৫৪ অপরাহ্ণ

চলমান করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই কক্ষ থেকে বাজারব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং আমদানি-রপ্তানি বিষয়েও নজর রাখা হবে। প্রতিদিন চার শিফটের প্রতিটিতে ১১ জন করে কর্মকর্তা সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজার পরিস্থিতি ও আমদানি-রপ্তানির ওপর তথ্য সংগ্রহ করে সংকট সমাধানে তাৎক্ষণিক সমাধান করবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। নিত্যপণ্য ও জরুরি ওষুধের চাহিদা বাড়ায় এসব পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। দেশব্যাপী লকডাউনের আশঙ্কায় ভোক্তারা এসব পণ্য কেনা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। এই সুযোগে আমদানিকারক, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের বড় অংশই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় ও সারা দেশে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল-জরিমানা আরোপ করলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় বাজারে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কাজ করবে। দেশের কোথাও কোনো পণ্যের সংকট দেখা দিলে ওই পণ্যের উৎপাদক ও আমদানিকারকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। কোথাও অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির তথ্য পেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, বাজারে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি এই সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের ওপর। বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য মূলত পরিচালিত হয় স্থলবন্দরের মাধ্যমে। গত রবিবার থেকে স্থলবন্দরগুলো নিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এখনো চলছে। এ অবস্থায় ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি সচল রাখা এবং বন্দরের কার্যক্রমে গতি বাড়িয়ে রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্ব দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ জন্যই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে উপস্থিত হয়ে বা মোবাইল ফোনে তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন) জানাবেন। আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে চলমান অবস্থায় কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা চাইলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সার্বিক সহযোগিতা দেবেন। বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার তথ্য সংগ্রহ করে কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।

গতকাল থেকে চালু হওয়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ২৯ মার্চ পর্যন্ত কখন কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বর দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিদিন চার শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন চারজন উপসচিব। গতকাল প্রথম শিফটে ছিলেন উপসচিব এস এম রফিকুল ইসলাম, মিরাজুল ইসলাম উকিল, মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল।

আজ মঙ্গলবার চার শিফটে দায়িত্বে থাকবেন উপসচিব শরীফ রায়হান কবির (০১৭১২৯১০৬৭০), মো. আমিনুল ইসলাম (০১৭১৬৪৬২৪৮৪), মো. সেলিম হোসেন (০১৭১৩৪২৫৫৯৩), মো. ইকবাল হোসেন (০১৭৩৪৫৬৪১৫৫); ২৫ মার্চ দায়িত্ব পালন করবেন উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ (০১৯৯৩০৩৮২৫৪), মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী (০১৭১২১৪৮৭৫৮), মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার (০১৫৫২৩০৩৯১১), সিনিয়র সহকারী সচিব নাজমুল হক (০১৭২৭৩০৭০৫৪); ২৬ মার্চ দায়িত্বে থাকবেন সিনিয়র সহকারী সচিব তাসনিম ফারহানা (০১৮১৬৮৮৯২৩৫), এস এম নাজিয়া সুলতানা (০১৭৬৫৭৫২৫০৭), উপসচিব সৈয়দা নাহিদা হাবিবা (০১৭১১২৩৭০১১), সিনিয়র সহকারী সচিব আশাফুর রহমান (০১৫৫২৯০৪১৬১); ২৭ মার্চ দায়িত্ব পালন করবেন উপসচিব শাহেদুল আকবর খান (০১৮৩৬১৮১৮১৮), সহকারী সচিব শ্যামাপদ বিশ্বাস (০১৭৫৬১৭৩৫৬০), মো. আব্দুস সাত্তার (০১৭১১৪০১৯৬০), মো. রেজাউল করিম পাটওয়ারী (০১৭১২১০৩০৫৭); ২৮ মার্চ দায়িত্বে থাকবেন সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. মাজেদুর রহমান (০১৭১২৯৮০৫৪১৩), উপপ্রধান মো. মাহবুবুর রব (০১৭১১৫৩০৪০৪), সহকারী সচিব মো. আব্দুর রাজ্জাক গাজী (০১৫৫২৫৬৮৫৬২), বাণিজ্য পরামর্শক মো. মাসুদুল মান্নান (০১৭০৭০৭৩২২৫); ২৯ মার্চ দায়িত্ব পালন করবেন উপসচিব মো. খলিলুর রহমান (০১৭১২১২০৩১৬), মোছা. নারগিস মুরশিদা (০১৭১২৭০৩৪৭০), মাহবুবা খাতুন মিনু (০১৭০৬৩৬৪৯৬৪) ও মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল হায়দার (০১৭১১৭২৩৬৮৮)। তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর।

 

 

 

পূর্বকোণ-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট