চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখতে চসিক’র উদ্যোগ

সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাটির অনুকৃতি উন্মোচন

১৭ মার্চ, ২০২০ | ২:৪৯ পূর্বাহ্ণ

দেশের সর্ববহৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাটির অনুকৃতি গতকাল (সোমবার) দুপুরে নগরীর টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অস্থায়ী কার্যালয় এলাকায় উন্মোচন করেন চসিক মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।
মুজিববর্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচিত ও স্মরণীয় করে রাখতে চসিকের এ উদ্যোগ। সিটি মেয়রের দিক নির্দেশনায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম প্রায় ছয়মাস ধরে বঙ্গবন্ধুর এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। এটির নির্মাণ কাজে চবির আরো ৮ জন শিল্পী তাঁকে সহযোগিতা করেন। চবির এই শিক্ষক নিজেই এ ভাস্কর্যটির নকশা প্রণয়ন করেন। এটি তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ৪০ লাখ টাকা এবং ভাস্কর্যের চার পাশে বেদী, সৌন্দর্যবর্ধন ও আনুসাঙ্গিক কাজের জন্য ব্যয় হবে ৪৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ব্যয় ৮৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান নতুন প্রজম্মের নাগরিকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে স্থাপন করা হচ্ছে এ ভাস্কর্য। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চসিক ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই প্রেক্ষাপটে এই ভাস্কর্য বসানো হচ্ছে। সিটি মেয়র বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এটি চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে উপহার দিতে চাই। বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কার্যের কাজ আগামী ১ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় চসিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, চবি চারুকলা বিভাগের সাবেক ডিরেক্টর ও আর্টিস্ট কনসালটেন্ট শায়লা শারমিন, নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকসহ কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
চসিক সূত্র জানা যায়, ইতোমধ্যে মাটি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য’র মূলকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। টাইগারপাস চসিক এলাকায় উন্মোচনের পর সেটি নিয়ে যাওয়া হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (সাবেক পোট কানেকটিং রোড) রোডের বড়পুল চত্বরে। সেখানে স্থায়ীভাবে বসানো হবে এই ভাস্কর্যটি। এটি আকর্ষণীয় করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চসিক। বড়পুল এলাকায় নিয়ে গিয়ে ভাস্কর্যটি ছাঁচের মাধ্যমে ঢালাই দিয়ে স্থায়ী ভাস্কর্যে রূপান্তর করা হবে। বেইজসহ ভাস্কর্যটির উচ্চতা হবে ২৭ ফুট ৬ ইঞ্চি। উচ্চতা হবে সাড়ে ২২ ফুট। অবকাঠামো তৈরির কাজের সঙ্গে ভাস্কর্য চত্বরটি ফুলের গাছ, বিভিন্ন উদ্ভিদের সমন্বয়ে সজ্জিত করা হবে। -বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট