চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সেমিনারে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী

হালদা রক্ষায় কঠোর মনিটরিং চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ মার্চ, ২০২০ | ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করা হবে। ফলে এটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং তদারকির দায়িত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। তাই হালদা নদীকে রক্ষায় এখন প্রয়োজন পরিকল্পিত পরিকল্পনা। পরিকল্পনা ছাড়া দেশের গর্বের এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই হালদা নদী রক্ষায় কঠোর মনিটরিং করতে প্রয়োজনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণার প্রেক্ষিতে এ নদীকে রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা প্রণয়নে ‘হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা : বর্তমান অবস্থা ও সংরক্ষণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল অব বাংলাদেশ (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস, রাউজান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, আইডিএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রফেসর শহীদুল আমিন চৌধুরী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া। প্রবন্ধের ওপর মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রেনমেন্টাল সায়েন্সেস প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেমিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধে হালদা নদী রক্ষায় ২১টি সুপারিশ করা হয়।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অনেক সময় দেখি একজন মানুষ হালদা নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। তখন তিনি হাতে থাকা ময়লাগুলো নদীতেই নিক্ষেপ করছেন। মনে হয় যেন এ নদীটি সব ধরনের বর্জ্যরে ভাগাড়। কিন্তু কেন। আমরা বর্জ্য নদীতে কেন ফেলব। এটি কোন ধরনের মানসিকতা।’
তিনি বলেন, ‘হালদা নদী কেবল চট্টগ্রাম বা বাংলাদেশ ঐতিহ্য নয়। এটি উপমহাদেশের ঐতিহ্য। এটি আমাদের গর্বের প্রাকৃতিক সম্পদ। তাই এটি যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি, তাহলে সেটি আমাদের সকলেরই ব্যর্থতা। কেউ এর দায় এড়াতে পারব না। আর আমরা হালদা পাড়ের বাসিন্দা হিসাবে আমাদের দায় আরো বেশি।’
কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল অব বাংলাদেশ (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, ‘সব ঐতিহ্যের কিছু ডুপ্লিকেট থাকে। কিন্ত হালদা নদী এমন এক ঐতিহ্য যার কোনো ডুপ্লিকেট নেই। হালদা নদীর যে সব বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী আছে, তা পৃথিবীর আর কোনো নদীতে নেই। এটি আজ স্বীকৃত একটি বিষয়। কিন্তু এমন ঐতিহ্য যদি আমরা হারিয়ে ফেলি, এটিকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে এটি দেশেরই চরম ক্ষতি।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট