চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দ. মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীর উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ মার্চ, ২০২০ | ১০:৫২ অপরাহ্ণ

দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হাসান মুরাদ ও তার সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় এম হাসান মুরাদ ও তার ছেলে সাদমান সামিসহ ১০-১২ নেতাকর্মী ও সমর্থক প্রার্থী আহত হয়েছেন। এম হাসান মুরাদ বিদ্রোহী প্রার্থী।

আজ শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে এম হাসান মুরাদ ও তার ছেলে সাদমান সামি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলার ঘটনায় বর্তমান কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম মো. চৌধুরী বলেন, তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে।

৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মঈনুল আলী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণার জন্য আমরা সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় জড়ো হয়। রেজাউল করিম এলাকায় আসার আগেই বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম মো. চৌধুরী, তার নিজ ছেলে, ভাতিজা ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হাসান মুরাদ, উনার ছেলে স্কুল শিক্ষার্থী সাদমান সামিসহ আমাদের প্রায় ১০-১২ জন নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হয়।

তিনি আরো জানান, এম হাসান মুরাদ ও উনার ছেলের মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। হামলার ঘটনায় বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বর্তমান কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম মো. চৌধুরী জানান, তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ হামলার সাথে আমি বা আমার কোন সমর্থক জড়িত ছিল না। কোন্দলের কারণেই তারা নিজেরা মারামারি করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণ জানতে চাইলে বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের গাড়িতে কার আগে কে উঠবে, সে বিষয়ে কথা কাটাকাটি নিয়েই তারা মারামারি করেছে।

জানতে চাইলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পক্ষে কয়েকজন এসে বর্তমান কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে গেছে। আমরা তদন্ত করছি।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এ এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় কাউন্সিলরদের সংঘর্ষের ঘটনায় এম হাসান মুরাদ ও তার ছেলে সাদমান সামি ২৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তারা দু’জনে মাথায় আঘাত পেয়েছেন।

পূর্বকোণ/ইমরান-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট