চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গণসংযোগকালে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম

জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় নৌকায় ভোট দিন

১৩ মার্চ, ২০২০ | ২:০২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের সকল উন্নয়নে এবং চট্টগ্রামবাসীর সেবায় আমি নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে যে প্রতীক দিয়েছেন তা বিজয়ী করার দায়িত্ব নগরবাসীর। আমি নগরবাসী ভাই বোনদের সালাম ও আদাব জানাতে এসেছি। আপনাদের প্রতি আমার আনুগত্য, আস্থা ও মূল্যায়নকে আমি যথেষ্ট মূল্যায়ন দিই। এ লক্ষ্যেই আমারও আপনাদের প্রতি দাবি আছে। আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে রায় দিয়ে জাতির সম্মান রক্ষা করবেন। উন্নয়নের ধারাকে অভিষ্ট লক্ষ্যে নিতে হলে আমাদের সবাইকে এক কাতারে আসতে হবে। আমি মনে করি, এ সত্যটাকে উপলব্দি করে নেত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। এ নৌকা জাতির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমি ব্যক্তির জন্য কিছু কামনা করি না, দলীয় ও জাতীয় স্বার্থে নিবেদিত প্রাণ। তাই ভোটটা আমার ব্যক্তির জন্য নয়, ভোট দেবেন জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। গতকাল বৃহস্পতিবার ৯, ১০ ও ১২নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে নগরবাসীর প্রত্যশা অনেক। আমাদের দল এবং নেত্রী জনগণের জন্য দায়বদ্ধতা আছে। এ দায়বদ্ধতা থেকেই আমি মেয়র নির্বাচিত হলে জনগণের কল্যাণে নিবেদিত থাকবো। একটা সংক্রামক করোনা ব্যাধি নিয়ে বিএনপি অপ্রপ্রচার চালাচ্ছে। এটা বিশ্বব্যাপী একটি মহামারি , এটি প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং সিটি কর্পোরেশন যথাযথ উদ্যোগ নিয়েছে। তাই আমরা আশা করব, আপনারাও আসুন এক সাথে এ মহামারি প্রতিরোধ করি। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামকে একটি আন্তর্জাতিক নগরীতে পরিণত করার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর। দলীয় শক্তিকে সুসংহত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাক্সিক্ষত স্বপ্ন বাস্তবায়নে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক কর্মীরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করি।
সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাদের প্রত্যশা হলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা। এই নৌকা জাতিসত্ত্বার জাগরণের প্রতীক। আমি জানি, বিএনপি কিছু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই বিএনপির মধ্যে আছে একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসররা। তাদেরকে ব্যালটের মাধ্যমে নির্মূল করতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইসহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল আবছার মিঞা, প্রফেসর নিছার আহমদ মঞ্জু, নগর আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল হাসান, জামশেদুল আলম চৌধুরী, মো. ঈসা, আকবরশাহ থানার সভাপতি সুলতান আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী আলতাফ হোসেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শওকত ওসমান জাহাঙ্গীর, ৯নং ওয়ার্ডের এস এম আলমগীর, সরওয়ার মোর্শেদ কচি, জহুরুল আলম জসিম, এরশাদ মামুন, ১০নং ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দীন জুয়েল, ইকবাল চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ১২নং ওয়ার্ডের নুরুল আমিন কালু, মো. শওকত আলী, লুৎফর হক খুশি প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট