চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

খাতুনগঞ্জে জলাবদ্ধতা বিষয়ে পরিকল্পনা সচিব

একনেকে চট্টগ্রামের যে কোন প্রকল্প পাসে সহযোগিতা থাকবে

১৩ মার্চ, ২০২০ | ২:১৫ পূর্বাহ্ণ

পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন বলেন, ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে প্রকল্প গ্রহণ করা হলে তা বাস্তবায়নযোগ্য হয় এবং সুফল পাওয়া যায়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সম্পর্কিত যে কোন প্রকল্প একনেকে পাস করার ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন পরিকল্পনা সচিব। দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের যৌথ উদ্যোগে “ইকনোমিক ইমপেক্ট অব ওয়াটারলগিং ইন লোকাল ট্রেডঃ এ স্ট্যাডি ইন খাতুনগঞ্জ, চট্টগ্রাম এন্ড ইন্ডাস্ট্্িরয়াল সেক্টর রিস্ক প্রোফাইল ফর চট্টগ্রাম” শীর্ষক কর্মশালায় গতকাল তিনি এ কথা বলেন। ১২ মার্চ সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। খাতুনগঞ্জ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয় তা নিরুপণ এবং চট্টগ্রামে শিল্প খাতে ঝুঁকি প্রাক্কলনের লক্ষ্যে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন। বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রামের উপ-প্রধান ড. নুরুন নাহার, ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ আবদুল্লাহ খান, বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, জেলা প্রশাসনের ডিডিএলজি ইয়াসিন পারভিন তিবরিজী, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ সৈয়দ জামাল আহমেদ, ছৈয়দ ছগীর আহমদ ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, আর্কিটেক্ট জারিনা হুসেন, সিডিএ’র প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. শহীদুল ইসলাম খান ও প্রধান প্রকৌশলী হাবীব মহিউদ্দিন, চসিক’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন, উইম্যান চেম্বারের পরিচালক সামিলা রীমা ও ক্যাব’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার সাবেরী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ ও ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং’র পরিচালক ড. মোল্লা মো. আওলাদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), এস এম আবু তৈয়ব ও মো. জহুরুল আলমসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতি বছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকা জলাবদ্ধতার কারণে কোটি কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সরকার রাজস্ব হারায়। তিনি এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিভিন্ন সময়ে করা সমীক্ষা, গৃহীত পরিকল্পনা ও জাইকা রিপোর্ট বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এনআরপি’র উপ-প্রধান ও প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুন নাহার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি খাতকে সহায়তার লক্ষ্যে ৮ম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনায় খাতুনগঞ্জ সংক্রান্ত সমীক্ষার সুপারিশসমূহ অন্তর্ভূক্ত করা হবে।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট