টেকনাফ বাহারছড়া মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জকির গ্রুপের সক্রিয় দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) গভীররাতে কক্সবাজার-টেকনাফ বাহারছড়া মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় র্যাবের তিন সদস্য আহত হয়। আহতরা হলেন, হাবিলদার খাইরুল, এ,এস, মাহি আবু কায়সার ও সার্জেন হুমায়ুন। বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হলেন; হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদা এলাকার নুর আহমদের ছেলে নুর কামাল (৩৫) প্রকাশ সোনায়া ডাকাত ও কক্সবাজারের খরুলিয়া জুনু মাতবর এলাকার আবদুস শুক্কুরের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৪) প্রকাশ ডিবি সাইফুল। তারা দুজনই কুখ্যাত চিহ্নিত সন্ত্রাসী জকির গ্রুপে সক্রিয় সদস্য বলে দাবি র্যাবের। র্যাব-১৫ সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটায় দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায় কুখ্যাত ডাকাত জকির গ্রুপের সদস্য সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন গোপন সংবাদের খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অস্ত্রধারী ডাকাত দলের সদস্যরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর কুখ্যাত ডাকাত জকির গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় র্যাবের তিন সদস্য আহত হয়। পড়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, একটি একনলা বন্দুক ও ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ নুর কামাল ও মো. সাইফুলকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
পূর্বকোণ/এম