চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে গতকাল সোমবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা। এ সময় প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সকালে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ৬ জন মেয়র প্রার্থী, ১৬১ জনসাধারণ কাউন্সিলর এবং ৫৬ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
প্রথমেই প্রতীক বরাদ্দ পান মেয়র প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী দলীয় প্রতীক নৌকা এবং বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন দলীয় প্রতীক ধানের শীষ বরাদ্দ পেয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মোমবাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম) এবং ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) প্রতীক পেয়েছেন।
প্রতীক পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামে যেসব মেগাপ্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরবো এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো। চট্টগ্রামকে একটি সুন্দর, নান্দনিক, জঞ্জালমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমি এ শহরকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। পরে তিনি হজরত আমানত শাহ’র মাজার জিয়ারত করে বক্সিরহাট, পাথরঘাটা ও দেওয়ান বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন।
অন্যদিকে প্রতীক পাওয়ার পর বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোটের মাঠে ইসি ও পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করবে। ছোট ছোট ব্যানার পোস্টার করার কথা বলা হয়েছে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটা কাজে লাগাবো। আমি নগরপিতা নয়, নগরের সেবক হতে চাই।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, মেয়র প্রার্থীরা প্রতিটি থানায় একটি করে কেন্দ্র স্থাপন করতে পারবেন। নির্বাচন একটি উৎসব। এই উৎসব যেন সংঘাতে পরিণত না হয়। যদি কেউ নির্বাচনী বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।