চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়িতে বাদামের বাম্পার ফলন
নাইক্ষ্যংছড়িতে বাদামের বাম্পার ফলন

নাইক্ষ্যংছড়িতে বাদামের বাম্পার ফলন

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি

৯ মার্চ, ২০২০ | ৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের বাঁকখালী মৌজার পাহাড়ি এলাকায় খালের তীরে এবারও বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় অনেকগুণ বেশি। উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের বাঁকখালী মৌজার বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি পাইনছড়ি, ধর্মছড়া, বাহিরমাঠ ইত্যাদি এলাকায় বাদামের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ত্রি-দানা ও বিনা চিনা বাদাম-৭ এসব জাতের বাদাম চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছে বাদাম চাষিরা। এসব জাতের বাদামের ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত বছর বাঁকখালী মৌজায় বাদামের চাষ হয়েছিল সাড়ে ৫ হেক্টর জমিতে। এবার চাষ হয়েছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হেক্টর জমিতে। দৌছড়ি ইউনিয়নের বাঁকখালী গ্রামের একাধিক চাষি জানান, এক হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয় সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। বাদাম উৎপাদন হয় প্রায় ১১০ থেকে ১২০ মণ। বাজারে মণপ্রতি বাদামের মূল্য প্রায় ৩ হাজার ২শ টাকা হিসেবে এক হেক্টর জমির উৎপাদনে সর্বমোট ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা মূল্য পাওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা। সেইসাথে একই জমিতে বছরে দুবার চাষ হয় বাদামের। ঠিকমতো বৃষ্টি হলে বাদামের চাষ খুবই ভালো হয়। গতবার বাদামে ভালো লাভ পেয়ে চাষিরা এবার বেশি করে বাদামের চাষ করেছেন। বাদাম চাষি আব্দুল মোতালেব জানান, বাংলা সনের ভাদ্র মাসের শেষের দিকে বাদাম রোপণ করলে আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ মাসে অর্থাৎ চার মাসে বাদামের গাছ ও বাদাম বড় হয়। তখন বাদাম তারা ঘরে তুলে নিতে পারেন। বাদাম তোলার পর একই জমিতে পুনরায় বাদামের চারা রোপণ করা হয়। পৌষ মাসে বাদাম গাছের চারা রোপণ করলে ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ শেষে জ্যৈষ্ঠের প্রথম দিকে দ্বিতীয় ধাপের বাদাম ঘরে তোলা যায়। এবারে ৪০ শতকের মতো জমিতে বাদাম ও অন্যান্য শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। দৌছড়ি ব্লকের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতায় অধিক লাভের মুখ দেখবো বলে আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শিমুল কান্তি বড়ুয়া বলেন, এবার বাদাম চাষে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের বাঁকখালী মৌজায় বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের মাটি বাদাম উৎপাদনের জন্য উপযোগী। তাই এসব অঞ্চলের কৃষকরা এবার তামাক চাষের বদলে বাদাম, ভুট্টা ও তরমুজ চাষেই আগ্রহী বেশি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট