চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন’ করোনাভাইরাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ মার্চ, ২০২০ | ৩:২৫ পূর্বাহ্ণ

করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজন যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা। একইসঙ্গে প্রতিরোধে জনগণের অংশগ্রহণই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো ব্যক্তিগত সচেতনতা। যেহেতু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো চিকিৎসা বা প্রতিষেধক নেই, তাই সতর্কতাই এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায়।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া সতর্কতার জন্য মাস্ক ব্যবহারেরও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। হাঁচি-কাশিতে টিস্যু বা কাপড় ব্যবহার অথবা এর অবর্তমানে পোশাকের অংশবিশেষ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে অন্তত বিশ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। অপরিষ্কার হাত দিয়ে নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করা যাবে না। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
কাদের আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি ?
১৮ বছরের কমবয়সীদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ কম দেখা গেছে। করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা। বিশেষ করে যারাপূর্ব থেকে হৃদরোগ ও হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। কীভাবে সুস্থ হবেন?
করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৮০শতাংশ মানুষ কোনো বিশেষ চিকিসা ছাড়াই সেরে উঠেছেন। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, এতে ঘাবড়ে যাবেন না। কারণ বিভিন্ন দেশে করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সাধারণত এ ভাইরাস কারো শরীরে প্রবেশ করলে তিন থেকে চারদিনের মধ্যে প্রকাশ পায়। কোনো কোনোক্ষেত্রে ১৪ দিনও লেগে যেতে পারে।
করণীয় কি?
প্রাথমিক লক্ষণ বোঝা গেলেই রোগীর ঘর আলাদা করতে হবে। তরল খাবার খেতে হবে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে। যেসব ব্যক্তির লক্ষণগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে তাদের অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন হতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট