চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

উখিয়ায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছেই
উখিয়ায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছেই

উখিয়ায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছেই

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া

৮ মার্চ, ২০২০ | ২:৩২ পূর্বাহ্ণ

ভূমি অফিস থেকে কৌশলে ৪-৫টি বালি মহাল ইজারা নিয়ে উখিয়ার প্রায় অর্ধশতাধিক স্পট থেকে দিনরাত বালি উত্তোলন চলছে।
গাড়িপ্রতি ৩শ টাকার বালি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ার সুবাদে বালি লুটপাটের মহোৎসব চলছে। এক শ্রেণির পেশাদার বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে উখিয়ার প্রায় অর্ধশতাধিক স্পট থেকে নির্বিচারে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলনের কারণে পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলায় বসবাসরত উপজাতি জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর যেকোন সময়ে ধসে পড়তে পারে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে মনখালীর চিকুনছুরি খাল, ছোটখাল, বড়খাল, রেজুর মোহনা, মরিচ্যা খাল, তুতুরবিল, হরিণমারা, রাজাপালং, হিজোলীয়া, গয়ালমারা দোছরী, বালুখালী, থাইংখালী খালের ১৫টি স্পটসহ ৫০টিরও অধিক স্থান থেকে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত বালি উত্তোলন করে চলেছে। তেলখোলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কিয়ামং চাকমার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, বাড়ি সংলগ্ন পাহাড়ের নিচে গর্ত করে সেখানে মোটর দিয়ে পানি উত্তোলনপূর্বক গর্ত পরিপূর্ণ করা হয়েছে। ফলে বালির পাহাড় ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। অপরদিকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে পাচার করা হচ্ছে। অব্যাহত ভাঙন ও বালি উত্তোলনের কারণে উপজাতিদের ৪-৫টি বসতবাড়ি এখন ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অভিযোগ করেন। এছাড়া ভারী যানবাহন দিয়ে বালি পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়ক ভেঙে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিমুল এহসান খান জানান, তিনি এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে যা দেখেছেন তাতে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লাখ লাখ টাকার বালি লুটপাটের সত্যতা পেয়েছেন। প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজনকে অবৈধ বালি উত্তোলনের দায়ে জরিমানা করেছেন এবং উদ্ধার করেছেন বালি উত্তোলনের সরঞ্জামাদি। বন বিভাগের পাহাড় কেটে বালি উত্তোলনপূর্বক পাচারের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা তারিকুর রহমান জানান, লোকবল সংকটের কারণে তারা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অবৈধ বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তবে প্রত্যক্ষদর্শী বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জানিয়েছেন, বনভূমির পাহাড় কেটে বালি ও মাটি পাচারের ক্ষেত্রে বন বিভাগের বিট কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট