ফটিকছড়িতে গত ১ মার্চ নিখোঁজ হওয়া প্রবাসী যুবক মো. ইউনুসের লাশ গতকাল ৭ মার্চ শনিবার উপজেলার লেলাং খালের চর থেকে উদ্ধার করেছে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ। নিহতের ভাই মোহাম্মদ বাহাদুর ইউনুসের লাশ শনাক্ত করেছেন বলে ফটিকছড়ি থানা সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকালে লেলাং খালের বালির চড়ায় একটি মানুষের হাতের কয়েকটি পচা আঙ্গুল দেখে স্থানীয় মানুষজন ফটিকছড়ি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বালি খুঁড়ে তার লাশটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল দুপুরে নিহতের স্ত্রী জনি আক্তারকে আটক করলেও পুলিশ তা স্বীকার করেনি। এদিকে নিহতের পারিবারিক একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করেছে, নিহত ইউনুস (৩৮) বিদেশে থাকার সুবাদে তার সুন্দরী স্ত্রী জনি আক্তারের সাথে ইউনুসের এক আত্মীয়ের পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। তারা দুজনের মেলবন্ধনের পথ সুগম করতে ইউনুসকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবার ব্যবস্থা তারা দু’জন মিলেই করে থাকতে পারে বলে উক্ত সূত্র এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে। কাজেই তাদের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটার যোগ বেশি বলে উক্ত সূত্র দাবি করেছে। উল্লেখ্য উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের মো. আবুল বশরের ছেলে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মোহাম্মদ ইউনুস (৩৮) গত ১ মার্চ নিজ বাড়ি থেকে উপজেলা সদর বিবিরহাট বাজারে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এ নিয়ে গতকাল ৭ মার্চ দৈনিক পূর্বকোণে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ব্যাপারে নিখোঁজের স্ত্রী জনি আক্তার বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি জিডি করেন (নং -১০৭, তারিখ ৩/৩/২০ইং)। অবশেষে গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যে পৌনে ৭ টায় এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি ইউনুসের লাশ তার পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেছে বলে জানান। কাউকে আটকের কথা তিনি স্বীকার করেননি।