টানা পঞ্চমবারের মতো বিশ্বজুড়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর (এনজিও) তালিকায় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশভিত্তিক আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।জেনেভাভিত্তিক গণমাধ্যম সংস্থা ‘এনজিও এডভাইজারের’ এই তালিকা প্রকাশের কথা শুক্রবার ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এনজিও এডভাইজার প্রতি বছর বিশ্বের ৫০০ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এই তালিকা তৈরি করে। বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, পরিচালন কাঠামো ও পদ্ধতিগত পরিবর্তনের অব্যাহত অঙ্গীকার দিয়ে ব্র্যাক শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। সকলের জন্য উন্মুক্ত তথ্য-উপাত্ত, কার্যক্রমের প্রভাব ও নতুনত্ব, পরিচালন কাঠামো এবং স্থায়িত্ব- অর্থাৎ যেসব সংগঠনের উদ্ভাবনী কর্মসূচি বা উদ্যোগ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে টেকসই এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখেছে, তাদের নিয়ে এই তালিকা সাজানো হয়েছে। এবছর শীর্ষ পাঁচে স্থান পাওয়া অন্য এনজিওগুলো হলো- মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ারস (ডক্টর উইদাউট বর্ডারস), ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিল, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস এবং মার্সি কোর। এক প্রতিক্রিয়ায় ব্র্যাক গ্লোবাল বোর্ডের চেয়ারপারসন আমিরা হক বিবৃতিতে বলেন, “এই সম্মান পেয়ে আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। দেশে-বিদেশে প্রায় পাঁচ দশকের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি ব্র্যাক ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর্মকৌশল ঘোষণা করেছে। এ কর্মকৌশল পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালেই ব্র্যাকের গ্লোবাল বোর্ড গঠন করা হয়। আমিরা বলেন, “ব্র্যাকের বৈশ্বিক কর্মকৌশলে স্যার ফজলে আমাদের জন্য দুঃসাহসী লক্ষ্য স্থির করে দিয়ে গেছেন, তা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ২৫ কোটি মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটানো যাতে করে তারা নিজেদের জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা প্রতিদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।“ এনজিও অ্যাডভাইজারের প্রধান সম্পাদক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জন-ক্রিস্টফ নথিয়াস বিবৃতিতে বলেন, “এবছর বিশ্বের এনজিও র‌্যাংকিংয়ে ব্র্যাকের প্রথম স্থান ধরে রাখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মূল ভূমিকা পালন করেছে তা হলো, উদ্ভাবন এবং ফলাফল বা প্রভাব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পুনর্ব্যক্ত অঙ্গীকার এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব ও পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণের ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত পূর্বপ্রস্তুতি।”