চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জেলা আ.লীগের সম্পাদক

চকরিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা হ চকরিয়া-পেকুয়া

৭ মার্চ, ২০২০ | ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় আসামি গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙালির বাড়িতে পুলিশ কর্তৃক হামলা-লুটপাট ও মারধরের ঘটনায় দশ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো.মতিউল ইসলামে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত

এবং দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আনোয়ার হোসেন বাঙালির বাড়িতে হামলার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পেশাজীবি সংগঠনের নেতা, মানবাধিকার কর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধারা তার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার মাসে একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ঘটনার পিছনে কারা জড়িত তাদের তা খোঁজে বের করা দরকার। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দাষীদের খুঁজে বের করার আহবান জানান তিনি। এসময় মেয়র মুজিবুর রহমানের সাথে ছিলেন জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, আ.লীগ নেতা জামাল উদ্দিন জয়নাল, পৌর আ.লীগ সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, আ.লীগ নেতা ওয়ালিদ মিল্টন, পরিমল বড়–য়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আকিত হোসেন সাজিব, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো.সরওয়ার প্রমুখ।
কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো.শাহজাহান বলেন, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে, শুক্রবার দুপুর ১২টা দিকে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি কাজী মতিউল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আনোয়ার হোসেন বাঙালির বাড়িতে তদন্ত করতে যায়। এসময় মুক্তিযোদ্ধার মেজ ছেলে মো.তারেক তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মতিউল ইসলামের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় বিভিন্ন মহল নিন্দা জানিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.ইকবার হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের অসম্মান কোনভাবে সহ্য করা হবে না। যে সব পুলিশ এঘটনার সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারো ব্যক্তিগত দায় পুলিশ বাহিনী নিবে না। এঘটনার তদন্ত চলছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট