চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

চকরিয়া জনতা শপিং সেন্টার মালিকের প্রতারণার ফাঁদে ১৭ ব্যবসায়ী !

নিজস্ব সংবাদদাতা ম চকরিয়া-পেকুয়া

৬ মার্চ, ২০২০ | ২:০৩ পূর্বাহ্ণ

চকরিয়া পৌরশহরের জনতা শপিং সেন্টারের মালিক পক্ষের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছেন ১৭ ব্যবসায়ী। চুক্তিবদ্ধ হওয়া দোকানের প্লট বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো নানাভাবে তাদের হয়রানি করছেন মালিকপক্ষ। গত ৪ মার্চ স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম।

তিনি আরো জানান, মার্কেটের মালিক মোজাহের কোম্পানি জীবিত থাকা অবস্থায় চিরিংগা মৌজার বিএস ২৩৩ নম্বর খতিয়ানের ৩১২ ও ৩১৩ দাগের উপর নির্মিত জনতা সুপার মার্কেটের প্রথম তলায় ১৬টি ও ২য় তলায় ৩টিসহ মোট ১৯টি দোকানের সালামি ও চুক্তিনামার মাধ্যমে মালিকানা ক্রয় করে ১৭ ব্যবসায়ী। পরবর্তীতে ১৯৯৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত এসব ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছিলেন। মোজাহের কোম্পানীর মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশদের সাথেও নতুন মার্কেটে প্লট বুঝে পাওয়ার জন্য চুক্তিনামা সম্পাদন করেন এসব ব্যবসায়ীরা। এদিকে জমির মালিক মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ হিসেবে তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা চট্টগ্রামের কাজীর দেউরি ভিআইপি টাওয়ারের মদিনা প্রপার্টি ডেভেলাপমেন্ট’র মালিক মো. সেলিম উল্লাহ, মুসলিম কবির ও মো. আবু ছগিরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পূর্বের নিউ জনতা সুপার মার্কেটের স্থলে নতুন জনতা শপিং সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জনতা সুপার মার্কেটের মালিক মোজাহের কোম্পানীর সাথে থাকা চুক্তিমতে নির্মিতব্য শপিং সেন্টারে নির্ধারিত দোকান ব্যবসায়ীর বুঝিয়ে দেয়ার শর্তে মোজাহের কোম্পানীর ওয়ারিশগণের সাথে নতুনভাবে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ১৭ ব্যবসায়ী। পূর্বের চুক্তিনামার সকল শর্ত মেনে নিয়ে নতুনভাবে আর কোন প্রকার টাকা দাবি না করার অঙ্গিকারনামা দেয়া হয় চুক্তিবদ্ধ ব্যবসায়ীদের। স্ব-স্ব দোকানের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার শর্তে মার্কেট মালিক ও ১৭ দোকান গ্রহিতার মধ্যে নোটারী পাবলিক কক্সবাজারের মাধ্যমে ৩শত টাকার লিখিত স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন হয়। চুক্তিনামায় পূর্বের ১৭ দোকানঘর মালিকের পক্ষে আদালতে মামলা থাকায় মোট ১৯টি দোকান মালিকদের সাথে নতুন করে কোন প্রকার বায়নানামা চুক্তি না করার কথাও উল্লেখ করা হয়।

শহিদুল জানান, চুক্তিনামায় শর্ত ছিল ১ বছরের মধ্যে পূর্বের দোকান মালিকদের স্ব স্ব প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দোকানগুলো পূর্বের মালিকদের কাছে হস্তান্তর না করে গত ১২বছর ধরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হয়রানি করে আসছে মালিক পক্ষ। এ কারণে চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ওই ১৭ দোকান মালিক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট