চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অধিকাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী ও স্বশিক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ
অধিকাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী ও স্বশিক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ

অধিকাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী ও স্বশিক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও মরিয়ম জাহান মুন্নী

৫ মার্চ, ২০২০ | ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই ব্যবসায়ী। ২১৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ১২৫ প্রার্থীই ব্যবসায়ী। যা মোট প্রার্থীর ৫৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। শিক্ষাগত যোগ্যতায় বড় অংশ হচ্ছে স্বশিক্ষিত-অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন প্রার্থী। তবে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, চিকিৎসকও লড়ছেন কাউন্সিলর পদে। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ ওয়ার্ডের ২১৫ প্রার্থীর হলফনামা পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া যায়। এসব হলফনামা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন। একই অবস্থা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর পদেও। নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৫৯ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ১১ জন স্বশিক্ষিত ও ১১ জন স্কুলের গন্ডি পেরুতে পারেননি। তবে মহিলাদের মধ্যেও একজন এমফিল ডিগ্রিধারী প্রার্থী রয়েছেন।

হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৪১ সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ২২০ জন। এরমধ্যে ২১৫ জনের হলফনামা পর্যালোচনা করা হয়। এরমধ্যে ১২৫ জন নিজেদের পেশা লিখেছেন ব্যবসা। অর্থাৎ প্রার্থীদের ৫৮ দশমিক ১৪ ভাগই ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী ছাড়াও ঠিকাদার রয়েছেন ২২ জন, কমিশন এজেন্ট ১৩ জন, বাড়িভাড়া থেকে আয় করেন ১৫ জন প্রার্থী। রাজনীতি, সমাজকর্মী, শিক্ষক-চিকিৎসক পেশার সংখ্যা কমছে। বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঠিকাদার প্রার্থীর হার ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ। বাড়ি ভাড়া থেকে আয় করা প্রার্থীর সংখ্যা ৬ দশমিক ৯৮ ভাগ। চাকরিজীবী প্রার্থী ৫ দশমিক ৫৮ ভাগ। কৃষিজীবী প্রার্থী ৪ দশমিক ৬৫ ভাগ। আইনজীবী প্রার্থী ২ দশমিক ৭৯ ভাগ। রাজনীতি করেন এমন প্রার্থী ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। অন্যান্য ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ৪ জন প্রার্থী হলফনামায় আয় উল্লেখ করেননি। প্রার্থীদের মধ্যে স্বশিক্ষিত ও স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ৬৭ জন। যা প্রার্থীদের ৩১ দশমিক ১৬ শতাংশ। উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীও অনেক রয়েছে। স্নাতক ডিগ্রিধারী রয়েছেন ৪১ জন। যা ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী রয়েছেন ১৪ জন। ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এল এল বি পাস আছে ৮ জন। ৯বম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন ৮ জন। একজন আছে এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। রয়েছেন পিএইচ ডিগ্রিধারী প্রার্থীও। ১০নং উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নিচার উদ্দিন আহমেদ শিক্ষাগত যোগ্যতা পিএইচডি লিখেছেন। এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক রয়েছেন একজন। তিনি হচ্ছেন ১নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের প্রার্থী ডা. মো. নিয়াজ মোরশেদ। এলএলবি ডিগ্রিধারী রয়েছেন আটজন।
নারী কাউন্সিলর সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে ১১ জন হচ্ছে স্বশিক্ষিত ও স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। যা মোট প্রার্থীর ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আরও ১১ জন নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তবে উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীও কম নয়। স্বাতক ডিগ্রিধারী ১১ জন ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রিধারী রয়েছেন ৬ জন প্রার্থী। যা মোট প্রার্থীর ১৮ দশমিক ৬৪ এবং ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ। এসএসসি পাস করা প্রার্থী রয়েছেন ১০ জন (১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ)। এইচএসসি পাস করা আছেন ৯ জন (১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ)। তবে এমফিল ডিগ্রিধারী প্রার্থীও রয়েছে।
সংরক্ষিত ১১নং ওয়ার্ডের প্রার্থী বিবি মরিয়ম শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেছেন এমফিল (অর্থনীতি)। আগ্রাবাদ মহিলা কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। নারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক হচ্ছে গৃহিনী। ৫৯ জনের মধ্যে ২৭ জনই হচ্ছেন গৃহিনী। যা মোট প্রার্থীর ৪৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে নারীদের মধ্যেও ব্যসাসায়ী প্রার্থী কম নয়। ১০ জনই নিজেদের ব্যবসায়ী বলে হলফনামায় লিখেছেন। যা হচ্ছে প্রার্থীদের প্রায় ২০ শতাংশ। দুই জন প্রার্থী ঘর ভাড়া থেকে আয় দেখিয়েছেন। ৬ জন সমাজকর্মী বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যান্য পেশাজীবী রয়েছেন ৪ জন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ৮ জন পেশা উল্লেখ করেননি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট