চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দু’জন আহতসহ আটক ৪

চবি সংবাদদতা

৪ মার্চ, ২০২০ | ৯:০৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ সন্দেভাজন চারজনকে আটক করেছে। আজ বুধবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবির ও ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল হামিদ ফুয়াদ। আটককৃতরা হলেন, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সীমান্ত দাস, একই শিক্ষাবর্ষের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বেলায়েত আকতার, দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান। অন্যজন বহিরাগত আরিফ। তার বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়।

জানা যায়, গত ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের ২৩৮ নাম্বার রুমে থাকা কনকর্ডের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বোরহানুল ইসলাম আরমানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবির নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর। এর জের ধরে গেল গতকাল মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে আবিরের কুপিয়ে জখম করে কনকর্ড গ্রুপের কয়েকজন কর্মী। গুরুতর আহতাবস্থায় আবিরকে প্রথমে চবি মেডিকেল সেন্টারে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাওল ও এ এফ রহমান হল থেকে এসে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে জড়ো হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের কয়েকটি রুম ভাঙচুর করে বিজয়ের কর্মীরা। রাতে ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হলেও আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজয়ের কর্মীরা কনকর্ডের কর্মীদের মারধর করতে বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালায়। এর জেরে আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে কনকর্ডের কর্মীরা শাহজালাল হলে অবস্থান নিলে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা তাদের ধাওয়া চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হলে প্রবেশ করলে নাছির গ্রুপের সাথে তাদের হাতাহাতি ও ইট পাটকেল বিনিময় হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহবাজন চার ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

বিজয় গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদিন আগে সৃষ্ট অন্য পক্ষগুলোর সংঘর্ষের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই তারা আমাদের কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় তারা আরও প্রশ্রয় পাচ্ছে।

কনকর্ড গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, তাদের (বিজয়ের) একটা ছেলে আমাদের এক ছেলেকে কিছুদিন আগে মারধর করে। আমি তাদের বলেছিলাম এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। পরে আমাদের ছেলেরা ক্ষোভে তাদের এক কর্মীকে মারধর করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। পুলিশ চারজনকে সন্দেহভাজন আটক করেছে। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

পূর্বকোণ/রায়হান-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট