চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে মেয়রের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ মার্চ, ২০২০ | ৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ

কিছু ওয়ার্ডে বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থীর দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছের নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। গতকাল যুবলীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি বলেন, মিডিয়া তার কাছে প্রশ্ন করেছেন। এমনকি বর্তমান মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছেও অনেকে প্রশ্ন করেছেন- কাউন্সিলর পদে এই প্রার্থীগুলো কিভাবে মনোনয়ন পেলেন? তিনি বলেন, এসব প্রার্থীর জন্য কারা সুপারিশ করেছে তা তার জানা নেই। যারা সুপারিশ করেছে তারা কারা ? এমন প্রশ্ন তুলে বলেন, তারা কী জেনেশুনে করেছে? তারা নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এ কাজগুলো করেছেন। তারা যে কাজ করেছেন এর দ্বারা কি সংগঠনের কল্যাণ হবে? মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে? বিতর্কিত মানুষ জনপ্রতিনিধি হলে তারা মানুষের কী কোনো কল্যাণ করতে পারবে? বিগত দিনে তাদের কী কর্মকা- ছিল? এখনও তারা বিতর্কিত। তাহলে তারা কিভাবে মনোনয়ন পেলেন? আমি এই কথাগুলো বলতে চাই না। আমি যদি কথা বলি, এই কথার সূত্র ধরে অন্য কথা হয়ত অনেকে বলার চেষ্টা করবেন।

সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ড যে মনোনয়ন দিয়েছেন সেটাই আমার শিরোধার্য এবং সেটা নিয়ে কাজ করছি, কাজ করব। কাজ করে প্রমাণ দেব আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শতভাগ অনুগত এবং জাতির জনকের আর্দশ অন্তরে ধারণ করি।
নিজের রাজনৈতিক জীবনের ঘটনা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, আমি হঠাৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হইনি। ১৯৬৯ সালে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে আন্দোলনে শরিক হয়েছি। ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার পর চট্টগ্রাম কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র, তখন পাঁচজনকে নিয়ে মিছিলের চেষ্টা করেছি। তিনি আজ বেঁচে আছেন তা আল্লাহ এর বিশেষ রহমত এবং প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার অবদান উল্লেখ করে বলেন, অনেকবার হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে। চট্টগ্রামের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল ফারুক-রশিদকে উৎখাত করেছি, ফ্রিডম পার্টি, জামায়াত-শিবিরকে উৎখাত করেছি। এটিই তো নিষ্ঠুর বাস্তবতা, কেউ কি অস্বীকার করতে পারে?”

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সমগ্র চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচন বানচাল করার জন্য দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রার্থীর বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে তার নেতৃত্বে এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে ?

তিনি বলেন, ‘জননেত্রীর একজন কর্মী হিসেবে আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমরা যেভাবে রাজনীতি করছি তাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কতটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন। আমরা তাঁর একজন কর্মী হিসেবে, সেটা অন্তরে ধারণ করি কি-না? আজ সময় এসেছে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করার।’
শুধু বক্তব্য দিলেই হবে না। সুন্দর কথা বললাম, হাত নাড়লাম তাতে দায়িত্ব শেষ নয়। অন্তরে কি ধারণ করি, বাস্তবে কি করি সেটাও কিন্তু বিষয়। সাধারণ মানুষ বোকা নয়। তারা জানে, তারা বোঝে, তারা দেখে। আমি যদি সুন্দর কথা বলি আর অসুন্দর কাজ যদি করি তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা কোনোভাবে অর্জন করতে পারব না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট