চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বিএনপির মানববন্ধনে ডা. শাহাদাত হোসেন

আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্যই সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ মার্চ, ২০২০ | ৩:২৩ পূর্বাহ্ণ

মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ ৯ বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্যই সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে সরকার যখন-তখন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। লুটপাটের বড় আখড়া কুইক রেন্টাল করে এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া গুণতে হচ্ছে হাজার কোটি টাকা। কুইক রেন্টালগুলো উৎপাদন না করলেও ভাড়া দিতে হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ জীবনযাত্রার সকল খরচ বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তিনি গতকাল সোমবার নগরীর কাজীর দেউড়ি নুর আহমদ সড়কে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে একথা বলেন।

দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর।

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে সাধারণ মানুষের। দেশীয় শিল্পকারখানা ধ্বংস করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধের মাধ্যমে দেশকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত চলছে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দরপতনের মধ্যেই দেশে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর কারণ হলো লুটপাট। দাম বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রাহকদের পকেট থেকে বছরে দু’হাজার কোটি টাকা লুটে নিবে আওয়ামী সিন্ডিকেট।
সভাপতির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের উপর মরার উপর খাড়ার ঘা’র মতো অবস্থা হয়েছে। বারবার গ্যাস বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন, এম এ হালিম, ইসহাক কাদের চৌধুরী, আলহাজ সালাউদ্দিন, এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজি মোহাম্মদ আলী, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, আলী আব্বাস, মোস্তাক আহমেদ খান, অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, এনামুল হক এনাম, এম এ রহিম, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, এস এম সাইফুল আলম, নুরুল আমিন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইস্কান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, আজম খান, এডভোকেট আবু তাহের, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মাহবুব আলম, শিহাব উদ্দিন মোবিন, মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, মোহাম্মদ রফিক, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, হামিদ হোসেন, ফাতেমা বাদশা, ইব্রাহিম বাচ্চু, মনজুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর আজম উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল হারুন, মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান, মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী টিপু, খোরশেদ আলম, হুমায়ুন কবির আনসার, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, মো. কামাল পাশা, কাজী সালাউদ্দিন, কুতুব উদ্দিন বাহার, শওকত আলী নূর, মাঈন উদ্দিন মাহমুদ, জাকের হোসেন, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট