চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৩১নং আলকরণ ওয়ার্ড

দেনা নেই সেলিম-সালামের ব্যাংক ঋণ দিদারুরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ মার্চ, ২০২০ | ৩:২৩ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিম, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবদুস সালাম ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী দিদারুর রহমান লাভু-তিন জনই নিজের আয়ে নির্ভরশীল। তিন প্রার্থীই উচ্চশিক্ষিত। স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের কোনো আয় বা সম্পদ উল্লেখ করেননি তারা। তবে সেলিম ও সালামের ঋণ বা ধার-দেনা না থাকলেও দিদারুরের ঋণ বেশি।

তারেক সোলেমান সেলিম : বর্তমান কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিমের বছরে আয় ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। নির্ভরশীল বা অন্য কোনো আয় নেই তাঁর। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ রয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। স্বর্ণ বা অন্যান্য ধাতু বা পাথর রয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ৪০ হাজার টাকার। আসবাবপত্র রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ উল্লেখ করেনি তিনি। স্থাবর সম্পদের মধ্যে যৌথ মালিকানার তিন শতক জায়গার মালিক তিনি। এছাড়াও পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এক লাখ ২০ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। তার কোনো ধার-দেনা নেই। শিক্ষাগত যোগ্য এম কম।

মো. আবদুস সালাম :
আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবদুস সালামের বছরে আয় ব্যবসা খাত থেকে ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭শ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ টাকা রয়েছে তিন লাখ টাকা। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমা রয়েছে ১৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪১২ টাকা। প্রাইজবন্ড রয়েছে ২০ হাজার ৫শ টাকার। স্বর্ণ বা অন্যান্য মূল্যবান ধাতু রয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ২৮ হাজার ৫শ টাকার। আসবাবপত্র রয়েছে ৭০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ওয়ারিশসূত্রে ১২ ফুটের দালান রয়েছে। তার কোনো ধার-দেনা বা ঋণ নেই। তিনিও স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের সম্পদ প্রযোজ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন। শিক্ষাগত যোগ্য এম কম।

মো. দিদারুর রহমান লাভু :
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী দিদারুর রহমান লাভুর বছরে আয় এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। এরমধ্যে ব্যবসা খাত থেকে আয় এক লাখ টাকা, কৃষি খাত থেকে আয় ১০ হাজার টাকা, বাড়ি, এপার্টমেন্ট বা দোকান ভাড়া থেকে আয় ৬০ হাজার টাকা।
বিএ পাসধারী দিদারুরের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে চারটি। এরমধ্যে তিনটি হচ্ছে ২০১৮ সালে দায়ের করা বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ রয়েছে ৭ লাখ টাকা। রয়েছে একটি কার, ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্র। তবে এসব সামগ্রীর টাকার অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি। স্ত্রীর নামে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তিন কানি নাল জমি ও একটি আবাসিক দালান রয়েছে। এসব সম্পদেরও টাকার অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি। তার ব্যক্তিগত ধার-দেনা না থাকলেও মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ৭০ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট