চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য

কৃষিজমির টপসয়েল কাটা কী চলবেই

বাঁশখালী প্রশাসনিক প্রতিরোধ বা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও নেই।

অনুপম কুমার অভি, বাঁশখালী

৩ মার্চ, ২০২০ | ১:৪১ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ধানি জমি হতে স্কেভেটর দিয়ে জমির উপরের উর্বর মাটির অংশ কেটে ট্রাকযোগে বিক্রি চলছে। এই মাটিগুলো বাড়ির ভিটি-পুকুর ভরাট করে স্থাপনা তৈরিতে ও ইটভাটায় ব্যবহার হচ্ছে। প্রতি ট্রাক মাটি ১২০০-১৫০০ টাকা হারে বিক্রি চলছে। প্রশাসনিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের যথাযথ অভিযান না থাকায় মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে ৩ ফসলি চাষাবাদ হয়ে থাকে। চলতি বোরো মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের জন্য টার্গেট করা হলেও ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। পানি সেচের অভাবে অনেক জমিতে কৃষকদের চাষাবাদ করার পরিকল্পনা থাকলেও চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। এছাড়া মুনাফালোভী জমির মালিকেরা ফসলি জমির উপরি অংশ মাটিখেকো ব্যবসায়ীদেরকে ট্রাকপ্রতি ১২০০-১৫০০ টাকা হারে বিক্রি করে যাচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় দালালদের হাত করে রাতদিন অবাধে ফসলি জমি, পাহাড়ি ঢালু অংশ হতে মাটি খনন করে তাদের ভিটি ও পুকুর ভরাট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

কৃষি অফিস জানা যায়, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ এর ধারা ৫ অনুযায়ী কৃষিজমির মাটি কেটে ইট প্রস্তুত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কৃষিজমির হিউমাস সমৃদ্ধ উপরি-অংশ (টপসয়েল) তৈরি হতে ২৫/৩০ বছর সময় লাগে। উক্ত টপ সয়েল খনন করে নেয়ার কারণে কৃষিজমি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সরল এলাকায় যে সমস্ত স্থানে মাটি খননের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সালেক বলেন, কৃষিজমির উপরের অংশ কেটে নেওয়ার কারণে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সরকারিভাবে কৃষিজমিতে মাটি কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদেরকে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে দ্রুত অভিযান চালালে মাটি খনন বন্ধ করা সম্ভব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট