টেকনাফে বিজিবি’র সঙ্গে গোলাগুলিতে এক মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। তবে নিহত মাদক পাচারকারীর পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। রবিবার (১ মার্চ) গভীররাতে টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া জাদিখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ানের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. ফয়সল হাসান খান বলেন, রবিবার রাতে নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নয়াপাড়া জাদিখাল দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে, এমন সংবাদে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের বিশেষ টহলদল নোয়াপাড়া বিএসপি পোষ্টে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। টহলদলটি দূর থেকে ২/৩ জন ব্যক্তিকে নৌকা নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। নৌকাটি নোয়াপাড়া জাদিখাল এর কিনারায় আসার সাথে সাথে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকাতে থাকা ব্যক্তিরা লাফ দিয়ে খালের অপর পার্শ্বে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে টহলদল তাদের ধাওয়া করলে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে বিজিবির উপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এ সময় তিন বিজিবি সদস্য আহত হন।

এ সময় বিজিবি’র টহলদলটি সরকারী সম্পদ ও নিজেদের জানমাল রক্ষার স্বার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি চালায়। উভয়ের মধ্যে প্রায় ৪-৫ মিনিট গুলিবিনিময় হয়। ইয়াবা পাচারকারীরা গুলি করতে করতে কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গোলাগুলির শব্দ থামার পর টহলদলের সদস্যরা উক্ত এলাকা হতে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। গুরুতর আহত ব্যক্তিকে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে আজ সোমবার (২ মার্চ) সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী চালিয়ে এক লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাঁজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলে জানান টেকনাফ ব্যাটালিয়ানের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. ফয়সল হাসান খান।

পূর্বকোণ/এম