চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কলাতলী আদর্শগ্রামে কবর স্থান দখল করে বাউন্ডারি

কক্সবাজার সংবাদদাতা

১ মার্চ, ২০২০ | ৪:৪৪ অপরাহ্ণ

দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে গড়ে উঠা কবর স্থানের একাংশ দখলে করে নিয়েছে কয়েকজন ব্যক্তি। এলাকাবাসীর বাধার মুখেও নিজেদের জমি দাবি করে কক্সবাজার কলাতলী উত্তর আদর্শগ্রামের কবর স্থানের জমিতে বাউন্ডারি নির্মাণ প্রায় শেষ করা হয়েছে। বাউন্ডারির ভিতরে বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ জনের কবর রয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। কলাতলী রোডের সী-সান রিসোর্টের ম্যানেজার ইদ্রিসের নেতৃত্বে কবর স্থানের ভিতরে বাউন্ডারি দেয়া হয়েছে। এমনকি ওই এলাকার সমাজ কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দীনের যোগসাজসে মো. আরিফ নামে একব্যক্তি কবর স্থানসহ জমিটি ক্রয় করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আরিফের এই জমিটি দেখভাল করেন সী-সান রিসোর্টের ম্যানেজার মো. ইদ্রিস।

স্থানীয়রা জানান, ওই কবর স্থানটি দীর্ঘদিনের। যেখানে বাউন্ডারি দেয়া হয়েছে এর ভিতরে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জনের কবর রয়েছে। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে মো. আরিফ নামের একব্যক্তি খতিয়ানভুক্ত জায়গা দাবি করে বাউন্ডারি দিয়ে যাচ্ছে। এতে সমাজ কমিটিও নিরব ভুমিকা পালন করে আসছে। স্থানীয়দের মতে, উত্তর আদর্শ গ্রাম সমাজ কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দীন ওই বাউন্ডারি দেয়ার জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সেই জানে ওই জায়গায় কবর রয়েছে।

এলাকার প্রবীণ মুরব্বি আবুল কাশেম বলেন, আমি এলাকায় বসবাস করছি প্রায় ৩২ বছর হয়েছে। শুরু থেকেই দেখছি যেখানে বাউন্ডারি দিচ্ছে সেটি কবর স্থানের জায়গা। অনেক দিনের পুরানো কবর স্থানটি আজ দখলের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর আদর্শ গ্রাম সমাজ কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দীন বলেন, আমি সমাজের সভাপতি হিসেবে জায়গাটি নির্ধারণ করে দিয়েছি তা ঠিক আছে। তবে যেখানে বাউন্ডারি দেয়া হয়েছে তার ভিতরে কবরও আছে। কিন্তু ম্যানেজার কথাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে ফোন কেটে দেন।এ ব্যাপারে সী-সান রিসোর্টের ম্যানেজার মো. ইদ্রিস বলেন, করব স্থান হলেও এটি খতিয়ানভুক্ত জায়গা। কিন্তু বাউন্ডারি দেয়ার আগে সমাজের সভাপতি নাছির উদ্দীন আমাদেরকে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখানে করব আছে কিনা তা আমি জানি না।   

এ বিষয়ে জমির মালিক দাবিদার মো. আরিফ বলেন, এগুলো আমাদের জায়গা। এখানে কোনো কবর নেই। তবে ওই জায়গাটি আমার বোনের নামে। ওখানে আমি জড়িত নেই। উত্তর আদর্শ গ্রাম সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমি সমাজের দায়িত্ব পালন করার আগেই হয়ত জমিটি বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখন বাউন্ডারির কাজ চলছে। এলাকার লোকজনকে নিয়ে অনেক বার বাধা দিয়েছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। তারা কৌশলে বাউন্ডারির কাজ শেষ করেছে। এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌরসভার মেয়রকেও অবগত করা হয়েছে। যে কোনো ভাবে করব স্থানের জমিটি রক্ষা করতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট