চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সরাইপাড়ায় হামলার ঘটনা

আ. লীগ প্রার্থীর মামলা, আসামির তালিকায় বর্তমান কাউন্সিলর

দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আরেকটি হত্যাকা- ঘটবে : নুরুল আমিন নিজস্ব প্রতিবেদক হ

১ মার্চ, ২০২০ | ৩:০৮ পূর্বাহ্ণ

হত্যার উদ্দেশ্যেই ঘরোয়া সভায় হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও দলীয় মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নুরুল আমিন বলেছেন, ‘এর আগেও আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাগ্যক্রমেই আমি বেঁচে যাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে সাবের আহম্মদের ছেলেসহ তার অনুসারীরা। এ বিষয়ে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সোহেল হত্যাকা-ের মতো আরেকটি ঘটনা ঘটবে।

গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর সরাইপাড়ার নির্বাচনী কার্যালয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে, বৈঠকে হামলার ঘটনায় কাউন্সিলর সাবের আহমেদ সওদাগর ও তার ছেলেসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নুরুল আমিন।
মালার আসামিরা হলেন, ডবলমুরিং থানার সরাইপাড়া ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সাবের আহাম্মদ (৫৬), তার বড় ছেলে ফারুক আহাম্মদ অপু (২৮), জাহিদুল আলম মুরাদ (৪০), রনি (৩০), জনি (২৮), টিংকু (২৪), তারেক (২৮), আরাফাত রহমান বিজয় (২৬), সামিউল আলম সাবিত (২৬), সাইফুল ইসলাম (৪০), রবিউল হক ইকু (৩০) ও নিজাম উদ্দিন মুন্না (৩২)। সংবাদ সম্মেলনে নুরুল আমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাচাই-বাছাই করে আমাকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু দলের শৃঙ্খলা নষ্ট করে বর্তমান কাউন্সিলর সাবের আহম্মদ সওদাগরের এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে গত ১৯ ফেব্রুয়ারিতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সাবের আহম্মদের ছেলে ফারুক আহমেদ অপু নিজ ফেসবুক আইডিতে পরোক্ষভাবে হুমকি দিয়ে স্ট্যাটাস দেন। যাতে তার অনুসরারীরা আমাকে ‘গুলি’ করে হত্যার কথাও উল্লেখ করেন।

নিরাপত্তার দাবি করে তিনি বলেন, গত শুক্রবার আমাদের পূর্ব ঘোষিত ঘরোয়া বৈঠকে আমাকেসহ আমার লোকজনকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা চালায়। যাতে আমার পক্ষের দশজন কর্মী গুরুতর আহত হয়। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে আমি এখনও শঙ্কিত, কেননা বারবার আমি তাদের হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছি। ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলের মতো আমার পরিণতি করতে চায় তারা। এর আগেও গত ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে আমার ওপর চড়াও হয় তার লোকজন। এ বিষয়ে আমিসহ আমার কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি করছি। একই সাথে এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক লায়ন এম শওকত আলী, এ বি এম লুৎফুল হক, সদস্য বাবুল হক, আমিনুল হক, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল হাছান, ডিলার জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট