তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, সরকার নারী নির্যাতন, যৌতুক, মাদক, শিশু নির্যাতনসহ সামাজিক নানা অনাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এসব সামাজিক অনাচার ও দুষ্টক্ষত বন্ধে জনগণকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক সচেতনতা ও গণঘৃণাবোধ জাগ্রত করা ছাড়া এসব সামাজিক অভিশাপ থেকে নিষ্কৃতি মিলবে না। আনজুমানে রজভীয়া নুরীয়া বাংলাদেশ আয়োজিত যৌতুক, মাদক ও নারী নির্যাতন বিরোধী ১১তম মহাসমাবেশে গতকাল শনিবার জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান আল্লামা আবুল কাশেম নূরী এতে সভাপতিত্ব করেন। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার একার পক্ষে সবকিছু সামাল দেয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে জনগণেরও অনেক করণীয় আছে। অথচ আমরা সে দায়িত্ব পালন করি না। সরকার সবকিছু করে দেবে এ মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আলেম, ইমাম, খতিব ও উলামা মাশায়েখগণ এসব সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে দেশে অনুকূল পরিবর্তন আসবে। মহাসমাবেশে উদ্বোধক ছিলেন মাইজভা-ার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিক্বত মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ আল হাসানী। তিনি বলেন, যৌতুক, মাদক, নারী নিপীড়ন থামাতে হলে

বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনকে ঢেলে সাজিয়ে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করতে হবে। সভাপতি আল্লামা আবুল কাশেম নূরী বলেন, যৌতুক, মাদক ও নারীর প্রতি নিত্য অবমাননা আজ বড় সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা দেখে আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না।

প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ জাহিদুল হাসান রুবায়েতের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহবায়ক মুহাম্মদ নুরুল হক, আলোচক নু ক ম আকবর হোসেন, ড. মাসুম চৌধুরী। মহাসমাবেশে বক্তারা দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর দমন-নিপীড়ন ও হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জানান। ভারত সরকারকে মুসলিম নিপীড়ন থামানোর দাবি জানান। মহাসমাবেশ শেষে বাদে মাগরিব থেকে শুরু হয় তফসিরুল কুরআন মাহফিল। আনজুমানে রজভীয়া নূরীয়া বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান পীরে তরিক্বত আল্লামা আবুল কাশেম নূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তফসিরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন তরিকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান জাতীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারী।

উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনেনীত মেয়র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী। মাহফিলে তফসির পেশ করেন আল্লামা ইউনুচ রজভী, আল্লামা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রিজভি। অতিথি ও আলোচক ছিলেন ড. নু ক ম আকবর হোসেন, ড. মাসুম চেীধুরী, রোটারিয়ান এস এম আজিজ, এডভোকেট আব্দুর রশিদ দৌলতী, অধ্যাপক আল্লামা কাজী মুহাম্মদ ইউনুচ রজভী, জহির আহমদ সওদাগর, মুসা সওদাগর, মুহাম্মদ আবুল হাসান, আবু ছালেহ আঙ্গুর, মুহাম্মদ মিঞা জুনাইদ, মুহাম্মদ তারেক আজিজ, মুহাম্মদ ফরিদুল আলম, মাওলানা ইয়াকুল আলী ফারুকী, মাওলানা আবু তৈয়ব মুহাম্মদ মুজিবুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল কাদের রজভী, মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী, এস এম ইকবাল বাহার চৌধুরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন জালালী, মাওলানা আবুন নূর মুহাম্মদ হাস্সান নূরী, মুহাম্মদ আরাফাত, মুহাম্মদ এহসানুল করিম, মিনহাজ উদ্দীন সিদ্দিকী, মুহাম্মদ শাহীন সুজন, মুহাম্মদ রায়হান নূরী, মুহাম্মদ ছাফওয়ান নূরীসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।-বিজ্ঞপ্তি