চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

একুশে বইমেলার সমাপনীতে সিটি মেয়র

মানবিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই

১ মার্চ, ২০২০ | ২:৪০ পূর্বাহ্ণ

চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে ৭০ লাখের বেশি মানুষের এ শহরে বইমেলার অভাব ছিল। বিক্ষিপ্ত বইমেলা হতো। চসিক সস্মিলিত বইমেলার আয়োজন করছে। বর্তমানে যান্ত্রিকতার যুগ চলছে। মঙ্গলে মানুষ্যবিহীন যান পাঠাচ্ছে। বর্তমান প্রযুক্তির উৎকর্ষের পাশাপাশি মানুষ যন্ত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে। আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। মানুষ যাতে মানুষ থাকে, মানবিক গুণাবলি অক্ষুন্ন রাখতে বইয়ের বিকল্প নেই। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের বই না দিয়ে স্মার্ট ফোন হাতে তুলে দেন। স্মার্ট ফ্যামিলি দেখানোর জন্য বার বছরের সন্তানের হাতে স্মার্ট ফোন তুলে দিচ্ছে। আজকের পৃথিবীর বাস্তবতায় মানবিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে উপলক্ষে চসিক আয়োজিত বিশ দিনব্যাপী বইমেলার সমাপনী দিবসে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র একথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও বইমেলা

উদযাপন পরিষদের আহবায়ক নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সুমন বড়–য়া।
বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদসহ লেখক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
মেয়র আরো বলেন, আগামী ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিজয়ী মেয়রই আগামী বছর বইমেলা আয়োজনের দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী বছরগুলোতে এই মেলা আয়োজনের জন্য চসিক সিজেকেএস এর সহযোগিতা চাইলে বিনা ফিতে বইমেলা আয়োজনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, দায়বদ্ধতা থেকে এই দায়িত্ব পালন করা হবে। এতে কোনো বিনিময় থাকবে না। এই বইমেলা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সবসময় আমার সহযোগিতার হাত উম্মুক্ত থাকবে।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা বলেন, সিজেকেএস এর সার্বিক সহযোগিতা না পেলে এত বড় পরিসরে বইমেলা আয়োজন সম্ভব হতো না। এই বইমেলা অয়োজন হওয়ায় চট্টগ্রামের বইপ্রেমি মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এই মেলায় এবছর ১৮ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন শ্রেষ্ঠ প্রকাশক ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এবারের বইমেলায় সেরা স্টলের মধ্যে প্রথম অক্ষরবৃত্ত, দ্বিতীয় কুঁড়েঘর,ও যৌথভাবে তৃতীয় চন্দ্রবিন্দু ও পেন্সিলকে পুরস্কার তুলে দেন সিটি মেয়র।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট