চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বর্ষার আগেই আরেক দফা অভিযান
বর্ষার আগেই আরেক দফা অভিযান

বর্ষার আগেই আরেক দফা অভিযান

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প অপসারণ করা হবে খাল পাড়ের ভবনের অবৈধ অংশ হ সময় নিয়েও কিছু কিছু মালিক তাদের ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ করেনি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকার সুযোগ নেই : প্রকল্প পরিচালক

ইমরান বিন ছবুর

২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৩০ পূর্বাহ্ণ

সময় নিয়েও যে সব মালিক ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ করেনি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই খালের পাড়ে গড়ে উঠা ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। এর আগে উচ্ছেদ অভিযানে ভবনের অবৈধ অংশের আংশিক ভেঙে দিয়ে বাকি অংশ অপসারণের জন্য ভবন মালিককে নির্ধারিত সময় বেধে দেয় সিডিএ ও সেনাবাহিনী। তবে সময় নিয়েও কিছু কিছু ভবন মালিক এখনো তাদের ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ করেনি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেড সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ জুলাই থেকে নগরীর খালগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে সিডিএ ও সেনাবাহিনী। অভিযান চলাকালীন সময়ে নগরীর ৩৫টি খাল থেকে ৩ হাজার ১৩৫ স্থাপনার অবৈধ অংশের একাংশ অপসারণ করে সিডিএ ও সেনাবাহিনী। এছাড়া, বাকি অংশটুকু অপসারণের জন্য ভবন মালিকদের সময় দেয়া হলেও এখনো অনেকে এসব অবৈধ অংশ অপসারণ করেনি। নগরীর খালগুলোতে জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্পের চলমান কাজে এসব অবৈধ অংশ ভেঙে দেয়া হবে। তবে বর্ষার আগেই শতভাগ দখলমুক্ত করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেড প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের সময় কিছু কিছু ভবনের অবৈধ অংশের আংশিক ভেঙে আমরা ভবন মালিককে নির্ধারিত সময় বেধে দিয়েছি। এরপরও যারা এখনো ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ করেনি বর্ষার আগেই সে সব অবৈধ অংশ ভেঙে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে নগরীর যেসব খালে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, সেসব খালে ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকার সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বিশেষ আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম চৌধুরী জানান, সময় নিয়েও এখনো কিছু কিছু ভবন মালিক তাদের ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণ করেনি। জলাবদ্ধতা প্রকল্পে খালের কাজ করতে গিয়ে এসব ভবনের অবৈধ অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে দেয়া হচ্ছে। ফলে এসব ভবনের জন্য বিশেষ অভিযানের প্রয়োজন নেই।

সেনাবাহিনী ও সিডিএ সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ৩৫টি খাল থেকে ৩ হাজার ১৩৫ স্থাপনার অবৈধ অংশের একাংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে সিডিএ। বাকি অংশটুকু অপসারণের জন্য নির্ধারিত সময় বেধে দেয় ভবন মালিকদের। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ স্থাপনা ছিল গয়নাছড়া খালে। সেখানে ৩৯১টি অবৈধ স্থাপনা ছিল। যারমধ্যে ১৮টি বহুতল ভবন ছিল। বিএস এবং আর এস মূলে ৩৬টি খালের মধ্যে পাখিজা নামের একটি খালের অস্তিত্ব পায়নি সিডিএ ও সেনা বাহিনী। এর পরিবর্তে নতুন একটি খাল প্রকল্পে যুক্ত করা হবে জানান সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সিডিএ’র ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ সময় ২০২০ সালের জুন মাস। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ বছরের ৯ এপ্রিল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করে সিডিএ। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয় ২ জুলাই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট