চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লেখকের দৃষ্টিতে বইমেলা

২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:১১ পূর্বাহ্ণ

ভাগ্যধন বড়–য়া, কবি। পেশায় ডাক্তার হলেও শব্দের সাথে শব্দের গাঁথুনিতে মগ্ন থাকেন সারাবেলা। এরই মাঝে প্রকাশিত হয়েছে কবির বেশ কটি কবিতাগ্রন্থ। এবারের বইমেলাতেও খড়িমাটি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হলো কবির দুটো গ্রন্থ।

পূর্বকোণের পক্ষ হতে বইমেলা, নিজের প্রকাশিত গ্রন্থসহ বেশকিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। পূর্বকোণের পাঠকদের জন্য উত্তরগুলো তুলে ধরা হলো। কেন বই প্রকাশ করেন প্রশ্নে কবি বলেন, ‘আমার কথা আমি ছাড়া কে বলবে। আমার দেখা জগত, আমার অনুভব, আমার অভিজ্ঞতা, আমার আনন্দ-বেদনা, আমার অভিপ্রায়, সম্পূর্ণ নিজস্ব সুতরাং আমি আমার পৃথিবীর কাছে যে সংবাদটা পাঠাতে চাই তা আমি আমার লেখায় প্রকাশ করি এবং সেই প্রকাশিতব্য লেখাকে জড়ো করে বই প্রকাশ করি।’

বই প্রকাশের অনুভূতি নিয়ে তিনি জানান, ‘নিজের ভেতর জমানো নিজের কথাগুলো বই আকারে যখন প্রকাশিত হয় এবং সেই অনুভবগুলো অন্যের কাছে উন্মুক্ত হয়ে স্বাভাবিকভাবেই একটা সুন্দর ও ভালো লাগার অনুভূতি সবসময় সক্রিয় থাকে, সেটা প্রথম বই হোক, নাহয় পরর্বতী বই হোক।’
বই প্রকাশে জটিলতা নিয়ে বলেন, ‘বই প্রকাশে কিছুটা জটিলতা থাকে, সময় মতো অনেক সময় বের হয় না। এতে দুই পক্ষেরই গাফিলতি আছে।’
প্রকাশিত বই বিক্রি নিয়ে জানান, ‘বই বিক্রি হতেই হবে, এই নিয়মনীতি মেনে কেউ বই প্রকাশ করে কিনা আমার জানা নেই, সুতরাং এখানে হতাশ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। অনেক বিখ্যাত লেখকের বই কম সংখ্যক কপি বিক্রি হয়েও পরবর্তী সময়ে তারা বেশ গুরুত্বপূর্ণ লেখক হয়েছেন, আর ‘হতাশা’ নিয়ে তো সাহিত্য চর্চা কেনো; জীবনের কোন চর্চায় হয় না।’
বই প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সর্ম্পকে জানান, ‘বই প্রকাশে সব লেখক চায়, পরিপাটি, গোছানো, নির্ভুলভাবে, সুন্দর বিন্যাসে অর্থপূর্ণ প্রচ্ছদে প্রকাশ করতে। সেই ক্ষত্রে আমিও ব্যতিক্রম নই।’

তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তরুণরা সবসময় নতুন বক্তব্য বা বিষয় নিয়ে হাজির হন, যে বিষয় আমি মনোযোগ সহকারে লক্ষ করি। যেখানে আমি অনেক নতুন বিষয় খুঁজে পাই। তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে নতুনদের নবতর চিন্তাচেতনার পরিধিটা অনেক বড়, সেটাও উপলব্ধি করা যায় তাদের লেখনির মাধ্যেমে। তবে জানার কোন বিকল্প নেই, তাই পড়তে হবে।’
এবারের বইমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে বলেন ‘এবারে আমার দুটো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ‘খড়িমাটি’ প্রকাশন থেকে। একটা মৌলিক কবিতা বই ‘জিলিপি পাহাড়’ আরেকটা আমার লেখা বিভিন্ন কবিতার অনুবাদ, ‘বিহাইন্ড দ্যা পেইজ’। এবার ‘জিলিপি পাহাড়’ কবিতাগ্রন্থে প্রকাশিত কবিতাগুলোতে, প্রকৃতি প্রেম, বৃক্ষ ও পক্ষীকথা এবং পরিবেশের সাথে মানুষের যে সম্পর্ক তা আলোচিত হয়েছে, যেখানে অরণ্যের সাথে মানুষের জীবনের গভীরতর সম্পর্ক নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বইয়ে মোট পঞ্চাশটি কবিতা আছে।’
বইমেলা নিয়ে কবি বলেন ‘বইমেলা লেখক ও পাঠকদের মেলা, তাই মেলার পরিসর যত বড় হবে ততই ভালো হবে। এতে পাঠকদের পছন্দমতো বই দেখতে ও কিনতে পারবে।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট