চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফের বাড়ছে সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ২:৪০ পূর্বাহ্ণ

প্রকৃতিতে শীতের তীব্রতা কমতেই ফের বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। বারোমাসি সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। আবার কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কিন্তু সপ্তাহের শেষের দিকে সেসব সবজির দাম বাড়তে পারে বলে জানান সবজি বিক্রেতারা। বেড়েছে সামুদ্রিক ও চাষের মাছের দামও। কমছে না পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম। প্রায় দু’মাস পরেই রমজান। এর আগেই দাম বেড়েছে চাল, ডাল, আদা, রসুন, ভোজ্যতেলসহ সকল নিত্যপণ্যের। এছাড়া স্বাভাবিক রয়েছে মুরগি ও মাংসের দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায় বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, লাউ, কুমড়ো, শসা ও টমেটোর দাম গত সপ্তাহের মত অপরিবর্তিত

রয়েছে। কিন্তু বেড়েছে শিম, গাজর, কাঁচামরিচ, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, বরবটি, করলা ও লতির। এসব সবজিগুলোর মধ্যে ৬০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, বরবটি, করলা ও লতি-ছড়া। নতুন ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, আবার কিছু দোকানে ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা ৬০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৬০ টাকায়, লতি ৬০ টাকায়, কচুর ছড়া ৮০ টাকায় ও করলা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শিম দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকায়, কাঁচামরিচ ৫০ টাকায়, বেগুন ৪০, গাজর ৩০ টাকায়। প্রতিটি সবজিতে প্রায় ৫ টাকা বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাউ ২০ টাকা, কুমড়া ২০, মূলা ১৫ টাকা ও শসা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে দেখা যায় গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১০-১৫ টাকা দাম বেড়েছে। রুই মাছ ২শ’ টাকা থেকে বেড়ে ২২০ টাকায়, কাতল ২৫০ টাকায়, ট্যাংরা সাড়ে ৩শ’ টাকায়। গলদা চিংড়ি ৬শ’ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪শ’-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, মলা ২৫০-২৭০ টাকা ও সুরমা মাছ ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে লাল কোরাল ৬শ টাকায়, ইলিশ ৬শ’ গ্রাম ৩শ’ টাকায়, রূপচাঁদা সাড়ে ৫শ’ টাকায়, সামুদ্রিক সুরমা ২৮০ টাকায় ও লইট্টা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পাকিস্তানি ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছু দোকানে এর বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস সাড়ে ৬শ টাকা, খাসির মাংস ৭শ’ থেকে সাড়ে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ভোগ্যপণ্যে বৃদ্ধি পাওয়া কোনো পণ্যের দাম এখনো কমেনি। ৮০ টাকার রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০’ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। ভারত মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১শ’ টাকা ও মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া দেশি চিনি ৭২ টাকা, আমদানি করা চিনি ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতল জাতের সয়াবিন তেল কোম্পানি ভেদে প্রতি লিটার ১১০ থেকে ১৪০ টাকায়, সরিষা ১২০ থেকে ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুদি পণ্যের মধ্যে বৃদ্ধি পাওয়া কোনো পণ্যের দাম কমছে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট