চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা: মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

বান্দরবান সংবাদদাতা

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ১:২২ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের জামছড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনার দুদিন পরেও পরিবারের কোনো সদস্য থানায় মামলা করেনি। সন্ত্রাসীদের হুমকি ও হামলার ভয়ে পরিবারের সদস্যরা কেউ মামলা করেনি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন পরিবারের কোনো সদস্য বাতি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পুলিশ বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর থানার কর্মকর্তা এস আই মাজহারুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার দু’দিন পরেও এলাকায় জনমনে আতংক কাটেনি। এখনো  কেউ আটক হয়নি। এলাকা থেকে অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছে। সন্ত্রাসী তৎপরতা কমাতে বেশ কয়েকটি এলাকায় সেনাবাহিনী পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা একের পর এক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাছাই করে হত্যা করছে। জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। তবে এর আগেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারা বাদি হয়েছে তারা আতঙ্কে রয়েছে। তাদের হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় ও মামলার বাদি দের নিরাপত্তা জনিত সমস্যার কারনে জামছড়ি আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের কোনো সদস্য বাদি হয়নি। খুবই দুঃখজনক। সরকারি দলের নেতা কর্মীরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও প্রশাসন নির্বিকার। আওয়ামীলীগ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করলেও জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।

জেলা জনসংহতি সমিতির সভাপতি উছোমং মারমা জানিয়েছেন ঘটনা যারাই করে থাকুক অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে এবং বান্দরবানের জামছড়িতে সন্ত্রাসীদের হাতে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার সকালে শহরের মুক্ত মঞ্চের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন তারু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির, কাজি নাসিরুল আলম প্রমুখ।

উল্লেখ্য গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার জামছড়ি মুখ এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা বাচনু মারমা নিহত হয়। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগের দুই নেতাসহ আহত হয় আরো পাঁচজন।

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট