চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পোশাকেও অমর একুশে

মরিয়ম জাহান মুন্নী

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি/ ছেলে হারা শত মায়েরই অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি / আমি কি ভুলিতে পারি ?’ এমন গান আর ‘অ’, ‘আ’, ‘ক’, ‘খ’ বাংলা বর্ণমালায় সেজেছে একুশে ফেব্রুয়ারির পোশাক। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। আর একদিন পরেই পালিত হবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান একুশকে অনুষঙ্গ করে সুতির তৈরি পোশাকে দেশাত্মবোধক গান, বাংলা বর্ণমালা, মুক্তিযুদ্ধের নানা গল্প নিয়ে ফ্যাশন হাউজগুলো সেজেছে সাদাকালো পোশাকের নানা সমাহারে। সাদা-কালো রঙের বাহারি ডিজাইনের পোশাকে ঠাসা দেশীয় পোশাকের দোকানগুলো। আর অনলাইন শপগুলোও তাদের পেজগুলো সাজিয়েছে নানা রকমের পোশাকে। হাউজগুলোতে রয়েছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রিপিস, টি-শার্ট ও শার্টের ছড়াছড়ি।

কোথাও কোথাও যুগলদের পোশাক। অর্থাৎ শাড়ি আর পাঞ্জাবির কম্বিনেশন। আবার কোন কোন দোকানে সালোয়ার কামিজ আর ফতুয়ার কম্বিনেশন রয়েছে।

পোশাকগুলো মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয়েছে ব্লক, স্প্রে ব্লক, ফেব্রিক চুনরি, স্ক্রিনপ্রিন্ট ও কটন। সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো ঘুরে দেখা মিলেছে এমন দৃশ্যের। জিইসি অঞ্জন’স এর ম্যানেজার নরুল ইসলাম বলেন, এখন ক্রেতারা যেকোনো উৎসবে পোশাক নিয়ে থাকে। উৎসবের উপর নির্ভর করে পোশাক কেমন হবে। অঞ্জন’স এর পোশাকগুলোতে এসেছে নতুনত্ব। স্লিমফিট ও একছাট কাটিং-এ পাঞ্জাবি করা হয়েছে। পোশাক জুড়ে আছে বাংলা লেখায় দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও বড় অক্ষর। নারী ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি শাড়িতে। পোশাকে কাজ করা হয়েছে এপ্লিক, ব্লক, হাতের কাজ, স্প্রে, হ্যান্ড পেইন্ট ও টাইডাই। আর একদিন পরেই একুশে ফেব্রুয়ারি। তাই ফ্যাশেন হাইজগুলোতে ভিড় ছিল ক্রেতাদের। এখানে তরুণ তরুণীদের পোশাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হলেও সব বয়সীদের জন্যই পোশাক রয়েছে। কাপড় আর ডিজাইনভেদে দাম নির্ধারণ হয়েছে পোশাকের। ছোটদের পোশাক দু’হাজার থেকে শুরু। পাঞ্জাবির

দাম শুরু এক হাজার থেকে। আর শাড়ি সাড়ে দুই হাজার থেকে বিভিন্ন দামের আছে।

এছাড়া আড়ং, রঙ, নিপুণ, পিনন দেশীয় হাউজগুলোতে ছিল এ পোশাকগুলো। শাড়ি ৭০০-৪০০০ টাকা, সালোয়ার-কামিজ ১২০০- ৪০০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৯৫০-১৫০০ টাকা। শার্টের দাম ৫৫০-৯৫০ টাকা, টি-শার্ট ৪৫০-৭৫০ টাকা আর শিশুদের পোশাক ৩৫০-৯৫০ টাকা। একুশে ফেব্রুয়ারির পোশাক উপলক্ষে ভিড় ছিল নগরীর আফমি প্লাজা, মিমি সুপার, মতি টাওয়ার, গুলজার, সেন্ট্রাল, ইউনেস্কো, সানমার সিটিসহ বিভিন্ন শপিং মলেও।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট