চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

টেলিফোন আলাপ ফাঁস

অভিযানের তথ্য পাচারে জড়িত কতিপয় বন কর্মকর্তা-কর্মচারী

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাতকানিয়া

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

‘আপনারা সাবধান হোন, বড় স্যারকে নিয়ে আসতেছি, ওখানের সবাইকে খবর দিয়ে দেন’ কথাগুলো কোন নাটকের ডায়ালগ নয়। কথাগুলো বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কাঠ চোরদের মুঠোফোনের কথোপকথন। সুকৌশলে সাতকানিয়া উপজেলার এক কাঠ চোরাই কারবারী ও অবৈধ করাতকল ব্যবসায়ীর মুঠোফোন থেকে নেয়া। উপরোক্ত কথোপকথনটি বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক গোপন তথ্য ফাঁসের একটি চিত্র। গত ১০ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বনবিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের উত্তর কালিয়াইশ ৫নং ওয়ার্ড হাসপাতাল মাঠ এলাকায় অবৈধ কাঠ উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করেন। এর দু’দিন পর ১৩ ফেব্রুয়ারি একই এলাকায় অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় বন বিভাগের বহু গড়িমসির পর অবশেষে ঊর্ধ্বতন মহলের চাপে ওই এলাকায় এসব অভিযান চালাতে বাধ্য হলেও অভিযানের আগে উপরোক্ত
কথোপকথনের মাধ্যমে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাঠ পাচারকারীদের সতর্ক করে দেন। যার কারণে কাঠ উদ্ধারের অভিযানের খবর অনেক আগেই এলাকায় ফাঁস হয়ে যায় এবং কাঠ চোরেরা সাধ্যমত মজুতস্থল থেকে কাঠ সরিয়ে নেয়। প্রথমদিন অবৈধ কাঠ উদ্ধারের অভিযান সন্ধ্যা ৬টা থেকে চালানো হলেও সকাল থেকে কাঠ চোরেরা তাড়াতাড়ি মজুত কাঠ সরানো শুরু করে। অনুরূপভাবে অবৈধ করাতকলে অভিযান চালানোর সময় আগেভাগেই বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা অবৈধ কাঠ পাচারকারীদের টাকায় লালিত হয় তারা অভিযানের পরিকল্পনার সংবাদ ফাঁস করে দেয়।

এ ব্যাপারে দোহাজারী লালুটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কাজ যদি কোন বন কর্মকর্তা-কর্মচারী করে থাকেন। তাহলে সেটা হবে অত্যন্ত গর্হিত কাজ। একই কথা বলেন, মাদার্শা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কাজ যারা করেন তারা সরকারি চাকরি করার যোগ্য বলে আমি মনে করি না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট