চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাহাড়খেকো শহীদুল্লাহকে ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগিরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কক্সবাজার

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৭:৫৬ অপরাহ্ণ

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে পাহাড় কাটার অভিযানে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়ে আটক পাহাড়খেকো শহীদুল্লাহকে ছিনিয়ে নিয়েছে তার সহযোগিরা। খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল আদর্শগ্রামে আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত হয়েছেন বন প্রহরী তাপস দাশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খুরুশকুল বিট কর্মকর্তা সোলতান মাহমুদ জানান, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম ও খুরুশকুল বিট কর্মকর্তা সোলতান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি যৌথ দল অভিযানে যান। অভিযানে পাহাড়কাটা অবস্থায় ছৈয়দ হোছেনের পুত্র শহিল্লাহকে আটক করা হয়। তাকে আটকের খবর পেয়ে তার সহযোগি কয়েকজন লোক ও মহিলারা অভিযান দলের উপর হামলে পড়ে। অভিযান দলের লোকজনকে আঘাত করে আটক শহীদুল্লাহকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এই ঘটনায় হাত কেটে রক্তাক্ত আঘাত হয়েছেন বন প্রহরী তাপস দাশ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বনকর্মীরা জানান, যেখানে অভিযান চালানো হয়েছে ওই স্পটে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটছে খুরুশকুলের নুরুল আবছার ও টেকপাড়া এলাকার এহেসান নামের একব্যক্তি। এহেসানের রয়েছে দুইটি ডাম্পার। বিশাল পাহাড়টি কেটে এসব ডাম্পার দিয়ে মাটি পাচার করছিল দীর্ঘদিন ধরে। কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার জানান, ওই হামলার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের দল নিয়ে অভিযানে নেমেছেন। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে এবং এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পাহাড় কাটায় ইতিমধ্যে এনভায়রনমেন্ট পিপল এর শোভাযাত্রা করার পরই কঠিন অভিযানে নামেন তিনি। তার নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে পরিবেশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযানে যান। সেখানে আসামী ছিনতাই হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে। এ প্রসঙ্গে এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, খুরুশকুলের ১১টি পয়েন্টে ভয়াবহ আকারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড় কাটা রোধে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি গণসচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন করা হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত পথসভায় এসিল্যান্ড পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে পাহাড় কর্তন করে মাটি বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু অভিযান চালাতে গিয়ে পাহাড় খেকোরা হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই করলো। এটি পাহাড় কর্তনকারিদের দুঃসাহস। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় না আনলে পাহাড় রক্ষা করা যাবেনা।

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট