চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পটিয়ায় ডাকাতের হাতে ব্যবসায়ী খুন আহত ১, আটক ১

নিজস্ব সংবাদদাতা হ পটিয়া

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় ডাকাতের হাতে ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের নলান্ধা গ্রামে মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন (৪৮) নামের ওই ব্যবসায়ীকে ডাকাতদের কথা মতো টাকা বের করে না দেয়ায় খুন করা হয়। আহত হয়েছেন সুজন নামের আরো এক ব্যবসায়ী। উভয়ের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। গত রবিবার রাত আনুমানিক ৩টায় এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ওই ঘটনায় গতকাল সকালে পুলিশ জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম নামের একজনকে আটক করে। আটকের পর পুলিশের প্রহারে আহতাবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা যায়। এদিকে বিকালে মান্না ও ফারুক নামের আরো দু’জনকে আটক করা হয়। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতেও কোলাগাঁও ইউনিয়নে একটি বিয়ের গাড়ি থামিয়ে গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পার না হতেই রবিবার রাতে আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং তাতে এক ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি নলান্ধা গ্রামে গরীব উল্লাহ শাহ (র.) মাজারে বার্ষিক ওরশে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন দোকান বসায়। নরসিংদী থেকে ফার্নিচার নিয়ে এসেছিল মোহাম্মদ জামাল ও সুজন। বেশকিছু মালামাল অবিক্রিত থাকায় ওরশ শেষ হলেও জামাল ও সুজন দোকান রেখে দেয়। গত রবিবার রাতে ডাকাতদল হানা দেয়। ডাকাতদলের চাহিদা মত ফার্নিচার বিক্রির টাকা বের করে না দেয়ায় ডাকাতরা জামাল ও সুজনকে মারধর করে। পরে জামালকে একটি বিলের মাঝে নিয়ে হত্যা করে।

কোলাগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ বুলবুল হোসেন এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মধু মেম্বার জানান, মেলা শেষে বেশ কিছু দোকানদার চলে যায়। ফার্নিচার দোকানদার বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এরই মাঝে গত রবিবার রাতে ডাকাতদল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

ডাকাত সন্দেহে আটক মাহবুবুল আলমের ভাই মফিজুল আলম জানান, তার ভাইকে পূর্ব বিরোধের কারণে ফাঁসানো হয়েছে। সে ডাকাতিতে জড়িত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই কালারপুল ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ কায়সার প্রকাশ্যে বেদম প্রহার করে। এর ফলে মাহাবুল আলমকে পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে পটিয়া ও পরে তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন মাহাবুকে প্রকাশ্যে প্রহারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সে হার্টের রোগী। তাকে বাড়ি থেকে আটকের পর তার শারিরীক সমস্যা দেখা দিলে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডাকাত সন্দেহে আটক মাহবু ডাকাতির সাথে জড়িত কিনা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়া দু’জনকে আটক করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মামলায় এখনো আটক দেখানো হয়নি। পুলিশের অভিযান অভিযান অব্যাহত আছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট