চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কোটি টাকার ইয়াবা লুট: রহস্যের জট খোলেনি ১০ দিনেও

কক্সবাজার সংবাদদাতা

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:১৮ অপরাহ্ণ

১০ দিন পার হয়ে গেলেও কক্সবাজার শহরের মাঝিরঘাট এলাকা থেকে প্রায় এক কোটি ইয়াবা লুট হওয়ার ঘটনার কুলকিনারা পাচ্ছে না পুলিশ।  যদিও পুলিশ বলছে, প্রায় ১০ লাখ ইয়াবা খালাসের বিষয়টি তারা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছেন এবং সেখানে পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় কয়েকজনের নামও তারা পেয়েছেন। মূল ঘটনা বের করতে  কাজ করছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকেলে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মাঝিরঘাটের আবু ছৈয়দ কোম্পানির জেটিতে মাছ ধরা ট্রলারে করে ইয়াবার একটি বিশাল চালান খালাস হয়। ইয়াবার চালানটি জেটি দিয়ে কুলে তোলার সময় একটি গ্রুপ ইয়াবা চালানটি লুট করে। টেকপাড়া এলাকার ইয়াবা নিয়ে সক্রিয় গ্রুপটি এই ইয়াবা ট্যাবলেট লুট করে বলে জানা গেছে। ইয়াবা লুটের পর থেকেই এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাঁকখালী নদীর তীরে মাঝির ঘাটের বিভিন্ন জেটি দিয়ে ইয়াবার চালান খালাস হয়। মাছ ধরা ট্রলার নিয়ে বিভিন্ন সময় এসব জেটি দিয়ে ইয়াবা খালাসের বিষয়ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবগত রয়েছে। ইয়াবা খালাসের নিরাপদ রুট হিসেবে ওই এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি ইয়াবা সিন্ডিকেটও। যারা নিয়মিত ইয়াবা বিক্রি ও লুটের ঘটনায় জড়িত।

সর্বশেষ ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকেলে আবু ছৈয়দ কোম্পানির জেটিতে প্রায় এক কোটি (স্থানীয় সূত্রে) ইয়াবা ট্যাবলেট খালাস হয়। খালাস হওয়ার খবরের বিষয়টি জানতে পেয়ে একটি চক্র ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো লুট করেন। অবৈধভাবে ইয়াবা খালাস ও লুটের ঘটনাটি এখন ‘টক অব দ্য কক্সাবাজার’ হয়ে গেছে।   জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি (অপারেশন) মাসুন খান বলেন, মাঝির ঘাটস্থ আবু ছৈয়দ কোম্পানির জেটি ঘাটে প্রায় ১০ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট লুট হওয়ার বিষয়টি আমরাও শুনেছি । তবে সুনির্দিষ্ট কেউ তথ্য দিতে পারছে না।  শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আমি এবং ওসি তদন্ত খায়রুজ্জামান স্যারের নেতৃত্বে একটি টহল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও করি। এবিষয়ে আমরা আরো  খোঁজ খবর নিচ্ছি। জানতে চাইলে সদর থানার ওসি মো. শাহজাহান কবির বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে মাঝির ঘাট এলাকায় ইয়াবা লুটের বিষয়টি শুনেছি। লুটের ঘটনায় স্থানীয় মিজানসহ একটি চক্র এতে জড়িত বলেও খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো সঠিক তথ্য বা কারণ জানা যাচ্ছে না। ইয়াবা লুট বা খালাসে যারা জড়িত পুলিশ তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট