চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আবেদন করলেই খালেদা পেরোলে মুক্তি পাবেন না : তথ্যমন্ত্রী

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পেরোলে মুক্তির জন্য আবেদন করলেই যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হবে বিষয়টি সেরকম নয়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পেরোলে মুক্তি আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যাগুলো বহু পুরনো, সেই সমস্যাগুলোকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার বহু চেষ্টা করেছে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটরিয়ামে গতকাল সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রীর পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্যশেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্মরণসভা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মো. জিয়াউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মুজিবুল হক, আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, আয়ুব খাঁন, অশোক কুমার দাশ, মহানগর পিপি এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, জেলা পিপি নাজমুল আহসান খাঁন। সঞ্চালনায় ছিলেন এডভোকেট নিখিল কুমার নাথ। এতে মরহুমের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মরহুমের সহধর্মিণী এডভোকেট কামরুননাহার বেগম।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে পেরোলে মুক্তি দিতে চাই সেটাকে বিএনপি আন্দোলনের বিজয় বলছে। যদি খালেদা জিয়ার পেরোলে মুক্তির বিষয় প্রতিষ্ঠিত হয় সেটা কি আন্দোলনের ফল নাকি মানবিকতা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার কিংবা তার দল কোনটার পক্ষ থেকে পেরোলে মুক্তির আবেদন জানানো হয়নি। তারা মুক্তির কথাটা বলছেন টেলিভিশনের সামনে ও গণমাধ্যমে। আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি পরিবারের পক্ষ থেকে পেরোলে হলেও তার মুক্তি চাই। পেরোল হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থায় মুক্তি। বিভিন্ন বন্দিদের পেরোলে মুক্তি দেয়া হয়। এটি কোনভাবেই আইনের মাধ্যমে মুক্তি নয় এটি একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা। কারো নিকটাত্মীয় স্বজন মৃত্যুবরণ করলে বা অন্যকোন বিশেষ কারণে নানা সময় পেরোলে মুক্তি দেয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত কারণে পেরুলে মুক্তি চান কিনা, তাদের দল বারবার বলছে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। গত ১১ বছরে বিএনপির পক্ষে কোন আন্দোলন করা সম্ভবপর হয়নি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কোন ক্ষমতা বিএনপির নাই। বেগম খালেদা জিয়া কোন রাজবন্দি নন। তাকে মুক্ত করতে হলে আইনের মাধ্যমেই মুক্ত করতে হবে। তারা যে পেরোলের কথাগুলো বলছেন তারা যখনই আবেদন করবে তখনই শুধুমাত্র এটি নিয়ে কথা বলার সুযোগ তৈরি হবে, তার আগে নয়। তাদের পক্ষ থেকেতো এখনো পেরোলে মুক্তির কোন আবেদন জানানো হয়নি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৪ সালে যখন বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন তার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তার পুত্রের তত্ত্বাবধানে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আর বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে সাজা ভোগ করছেন। প্রধানমন্ত্রী যদি জিঘাংসার রাজনীতি করতেন তাহলে তিনি এখন কারাগারেই থাকতেন। তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকতেন না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট