চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

তথ্য দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে পারেন অনেক প্রার্থী

অতীত ইতিহাস জানতে চাওয়া হবে আ. লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের

ইফতেখারুল ইসলাম

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে এক-এগারো পরবর্তী এবং ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি জামাত জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রার্থীর ভূমিকাসহ বেশকিছু সাংগঠনিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্য জানাতে গিয়ে অনেক প্রার্থী বেকায়দায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া যারা হাইব্রিড এবং অন্য দল থেকে এসে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন তাদেরকেও অতীত দলের নাম এবং পদপদবি জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনিয়ে নব্য আওয়ামী লীগরাও বেকায়দায় পড়বেন।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছে যে ফরম বিক্রি করা হচ্ছে তাতে বিস্তারিত সাংগঠনিক পরিচয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব প্রশ্ন রয়েছে। তা হল দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কত দিন ধরে আওয়ামী লীগে আছেন? আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পর্যায়ে বর্তমান পদমর্যাদা কি? অন্যকোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন কিনা? থাকলে ঐ দলের নাম এবং ঐ দলের পদমর্যাদা কি ছিল তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ছাত্র জীবনে কোন সংগঠনের সদস্য ছিলেন সেই সংগঠনের নাম ও পদমর্যাদাও জানাতে হবে। তাছাড়া কোন যুব, শ্রমিক, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক, ট্রেড ইউনিয়ন কিংবা অন্য কোন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে তাও জানাতে হবে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভুমিকা, ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যার পর প্রার্থীর ভূমিকা কি ছিল তাও জানাতে হবে। তবে মুক্তিযুদ্ধ এবং ৭৫ পরবর্তী ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেয়া থেকে বেঁচে যাবেন নতুন প্রজন্মের প্রার্থীরা। তবে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি জামাত জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রার্থীর ভূমিকা এবং ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অর্থাৎ ১/১১পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর ভূমিকার সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর এড়ানোর সুযোগ কোন প্রার্থী নাও পেতে পারেন। এই প্রশ্ন দুইটি অনেক প্রার্থীর কাছে খুব কঠিন হবে। কারণ ২০০১ সালে অনেকেই তৎকালীন সরকারি দলের লোকজনের সাথে মিলেমিশে ব্যবসা করেছেন। ব্যবসার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় সরকারবিরোধী আন্দোল সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। আবার এক-এগারোর সময় অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তবে কেউ কেউ কারাবরণ করেছেন। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

যারা রাজনৈতিক কারণে কখনো কারাবরণ কিংবা অন্যকোনভাবে রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা বিষয়টি জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন। সরকারি- বেসরকারি সংস্থায় নিযুক্ত থাকলে তাও জানাতে হবে। তাছাড়া নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীর উল্লেখযোগ্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গঠনমূলক কর্মকা- থাকলে তারও বিবরণ দিতে পারবে।

একাধিক আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিকার কাউন্সিলর প্রার্থীর সাথে আলাপকালে তারা পূর্বকোণকে জানান, দল থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজায় তারা খুশি। তারা আশা করছেন, এর মাধ্যমে প্রকৃত ত্যাগীদের মূল্যায়ন হবে। দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিকরাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট