চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৩ মাস সময়

আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ারম্যানকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:২১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তিন মাস সময় দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সাথে উচ্ছেদের আগে ওই জায়গার সব অবৈধ স্থাপনার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ আদালতে হাজির হওয়ার পর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর আদালতে বন্দর চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন। আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে থাকা কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের বন্দর কর্তৃ

পক্ষকে তিন মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে উচ্ছেদের আগে ওই জায়গার সব অবৈধ স্থাপনার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উচ্ছেদের কাজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের বন্দর কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উচ্ছেদ বিষয়ে ১২ মে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করেছে আদালত। তবে বন্দর চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে রিট পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১৬ সালে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য রায় দিয়েছিলেন আদালত। সর্বশেষ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাদের অধীনের থাকা কিছু জায়গা উচ্ছেদ করা হয়েছে এমন প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কর্তৃপক্ষ। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল বন্দর এলাকার জায়গা জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ করতে পারবে না। কারণ ওই এলাকা বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন। আদালতে লিখিত আবেদন দিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেছেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের কাজ করছে। ৫৮ একরের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩৫ একর উচ্ছেদ করা হয়েছে। ২৩ একর উচ্ছেদে বিভিন্ন সমস্যা আছে। আরও ছয় মাস সময় চাই। উল্লেখ্য, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট রায়ের অনুলিপি দেওয়া হয়।
ওই রায় অনুসারে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কয়দিন চলার পর তা বন্ধ যায়। এরপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৯ এপ্রিল বন্দরনগরী কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট