চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

পৌরসভার বাঁধায় কাজ বন্ধ পটিয়ায় ফুটপাত দখল করে সওজ’র বাউন্ডারি

নিজস্ব সংবাদদাতা হ পটিয়া

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:২০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পটিয়ায় নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ১২ কোটি টাকার ড্রেন ও ফুটপাত। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়া সদরের পল্লীবিদ্যুত এলাকায় এই ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে সওজ কর্তৃপক্ষ একটি বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়ার চেষ্টা করছে। শুক্রবার (গতকাল) দুপুরের পর পটিয়া পৌরসভার কর্মচারীরা সওজের ‘অবৈধ’ বাউন্ডারি নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রথম শ্রেণির পটিয়া পৌরসভায় যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করা হচ্ছে। ড্রেনের দক্ষিণ পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে। পৌরসভার অভিযোগ সওজ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন ছাড়া রেস্ট হাউসটি করেছে

এবং বেআইনিভাবে বাউন্ডারি দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটি হলে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ হবে।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির পটিয়া পৌরসভায় যানজট ও বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতা নিরসন করতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়তনে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রথম প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ চলছে। ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি। পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের দুই পাশে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের পাশেই সওজ কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ বেআইনি ও জোরপূর্বক একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে। রেস্ট হাউস নির্মাণ শেষ করে তারা জোরপূর্বক ড্রেন ও ফুটপাত বাউন্ডারি দিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে। অনুমোদন ছাড়া রেস্ট হাউস করার বিষয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সওজ কর্তৃপক্ষ জবাব দেয়নি।

পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোফরান রানা জানিয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ কাজ চলছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়তনে বর্তমানে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ চলছে। এটি সম্পন্ন হলে মানুষের দুর্ভোগ আর থাকবে না। কিন্তু সওজ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন ছাড়া একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে। বর্তমানে তারা ড্রেন ও ফুটপাত দখল করার চেষ্টা করছে। কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানিয়েছেন, পৌরসভার সঙ্গে যে চুক্তি ছিল সে মোতাবেক তারা ড্রেন ও ফুটপাতের কাজ করেনি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা বেদখল হওয়ার আশংকায় মূলত বাউন্ডারি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আগামীতে শিকলবাহা ক্রসিং থেকে দোহাজারী পর্যন্ত পটিয়া পৌরসভা হয়ে ২৯ কিলোমিটার রাস্তা ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুট দু’ পাশে বৃদ্ধি করা হবে। ফলে সড়ক বর্ধিত করণ কাজ বাঁধাগ্রস্ত হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট