চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ক্রেতাশূন্য এসএমই পণ্য মেলা

প্রচার-প্রচারণা নেই

মরিয়ম জাহান মুন্নী

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:১৫ পূর্বাহ্ণ

ক্রেতা শূন্য জিমনেসিয়ামের মাঠে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত সাতদিনের আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা-২০। এমন অবস্থায় হতাশায় ভুগছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা নারী উদ্যোক্তারা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনের সাতদিনের এ মেলায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নারী উদ্যোক্তাগণ। এ নারীরা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) ও হাতের কাজ শেখানো যুব উন্নয়নমূলক সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। নিজ উদ্যোগে সাবলম্বী হতে নিজেরাই করছেন নানা রকম হাতের তৈরি পণ্যের ব্যবসা। নিজেদের তৈরি সেসব পণ্য নিয়েই অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন মেলায়। সেসব মেলায় লাভের মুখও দেখেছেন তারা। কিন্তু চট্টগ্রামে আয়োজিত সাতদিনের এ মেলার গতকাল শুক্রবার ছিল ৪র্থ দিন। তবে ৪র্থ দিনেও ক্রেতার দেখা নেই মেলায়। এতে বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা এ নারীরা উদ্যোক্তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল বিকেল চারটার দিকে পুরো মেলা জুড়ে হাতেগোনা কয়েকজন নারী ক্রেতা এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করছেন আর পণ্য দেখছেন। আবার কিছু দোকানিকে পণ্য গুটিয়ে চলে যেতেও দেখা যায়। তবে মেলা জুড়ে হাতের তৈরি নানা রকম পণ্যের সমাহার। মেলায় ৭০টি দোকান নিয়ে সেজেছে বাহারি সব দেশি পণ্যে। মেলা জুড়ে হাতের তৈরি সুতির কাজ করা থ্রি-পিস, গহনা, ফুতির ব্যাগ, বালিশের কভার, ফুলের শোপিস, ফুলদানি, ঘর সাজানোর নানা রকম পণ্য, পাপস, ঢাকাই জামদানি, তাঁতের শাড়ি, ব্লক-বাটিক, বুটিক, ক্রিস্টাল পাথরের পণ্যসহ নানরকম হ্যান্ডিক্যাপ পণ্য। আরো আছে হাতে কাজ করা ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া ও গেঞ্জি। এসময় মেলার নারী উদ্যোক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সঠিকভাবে হচ্ছে না মেলার প্রচার-প্রচারণা। মেলা নিয়ে আশপাশের সড়ক, মেলায় প্রবেশ পথে নেই কোনো ব্যানার, ফেস্টুন। আবার কোনো পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেলেও নেই বিজ্ঞাপন। এতে মানুষের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না মেলা। তাই মেলায় ক্রেতা নেই বললেই চলে। মেলার চারদিনের মধ্যে কেউ ১৫শ’, কেউ ২ হাজার, কেউ আবার ১ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন মাত্র। কিন্তু যারা দূর থেকে এসেছেন তারা হোটেলে রুম ভাড়া করে থাকছেন। হোটেলে একদিনের ভাড়াই আসে

কমপক্ষে ১ হাজার টাকা। অন্যান্য খরচতো আছেই। এসব খরচ এখন নিজেদের থেকে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) মেলার প্রচার-প্রচারণা করছে না বললেই চলে। ৭০টি দোকানের মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে চলে গেছেন। কালকে আরো কয়েকজন চলে যাবেন। বেচাকেনা নেই এখানে বসে থেকে কি করবো।

নীলফামারি সৈয়দপুর থেকে নারী উদ্যোক্তা লিলি বেগম ও কক্সবাজারের সাকি আক্তার নামে দুই নারী উদ্যোক্তা বলেন, মেলায় অংশগ্রহণ করতে আমরা এতো দূর থেকে এসেছি। আজ চারদিন কোনো বেচা-কেনা নেই। দৈনিক খরচের টাকাও উঠছে না। ভাবছি চলে যাবো। হোটেলে থাকতে যে টাকা খরচ করছি সে টাকাও লস হচ্ছে। মেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য একটি দোকান ২ হাজার টাকা ফি দিয়ে নিয়েছি। চারদিনে এ টাকাও ওঠেনি। কিন্তু এর আগে রাঙামাটিসহ আরো অনেক জায়গায় সাতদিনের এ ধরনের মেলা হয়েছিল। সেগুলোতে এমন সমস্যা হয়নি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট