চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পৃথক তিনটি ঘটনায় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে এ কমিটি গঠন করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান।

প্রক্টর বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের আবাসিক হলের একটি কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মাদ ইয়াকুবকে প্রধান করে সহকারী প্রক্টর মরিয়ম লিজা ও প্রীতিলতা হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক ড. শ্রীকান্ত চৌধুরীকে সদস্য রাখা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগের চার গ্রুপের চলমান মারামারি ও অবরোধের ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যকার কোন্দলের ঘটনায় সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবীর ও জিয়াউল ইসলাম এবং সিক্সটি নাইন ও আরএস গ্রুপের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব ও রিফাত রহমানকে সদস্য করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রক্টর বলেন, কমিটির সদস্যদের দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রক্টর বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘটনার জেরে গেল সোমবার দুপুরে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ঝুপড়িতে আরএসের দুই কর্মী মারধর করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের অনুসারীরা। এ ঘটনায় দোষীদের বিচার ও ঘটনার দায়ভার গ্রহণ করে সাধারণ সম্পাদক টিপুর পদত্যাগের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয় আরএস গ্রুপ।

এর আগে ২২ জানুয়ারি ছাত্রলীগ সভাপতি অনুসারী সিএফসি ও মোহাম্মাদ ইলিয়াসের অনুসারী বিজয় গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলার জের ধরে উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে দায়ী করে লাগাতার অবরোধের ডাক দেয় বিজয় গ্রুপ। অবরোধের প্রথমদিন গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে অবরোধ শিথিল করে গ্রুপটি।

পূর্বকোণ/রায়হান-আরপি