চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কর্ণফুলীতে গুঁড়িয়ে দেয়া হল দুই ইটভাটা, ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কর্ণফুলী

২৮ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নে কর্ণফুলী নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা দুইটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় অপর দুইটি ইটভাটাকে নানান অনিয়মের অভিযোগে ৩০লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের কর্ণফুলীর নদীর তীর এলাকায় বিদ্যমান অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর। এছাড়া এসব ইটভাটার পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। উক্ত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমে নেতৃত্ব প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল্লাহ নূরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক নাজিম হোসেন শেখ। এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা করেন বিপুল সংখ্যক র‌্যাব-৭, ফায়ার সার্ভিস ও কর্ণফুলী থানার পুলিশ সদস্য। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিন দৈনিক পূর্বকোণকে জানান, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ইটপ্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ বিভিন্ন ধারা লংঘন ও কর্ণফুলী নদীর তীরে সরকারি খাস জায়গা দখল করে ইটভাটা স্থাপন করার দায়ে ছাবের আহমদের মালিকানাধীন ই.আর.বি ব্রিকস ও আবু বক্করের মালিকানাধীন টিএমবি ব্রিকস গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ দুই ইট ভাটাতেই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে সনাতন পদ্ধতির ১২০ ফুট চিমনী। এক্সেভেটর দিয়ে ইটভাটার কিলন ভাঙ্গার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রায় দুই লক্ষ কাঁচা ইট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। একইসাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র হালনাগাদ না থাকায় ও কর্ণফুলী নদীর তীরে সরকারী খাস জায়গা দখল করে ইটভাটা স্থাপন করার দায়ে আবদুল শুক্কুরের মালিকানাধীন পায়রা ব্রিকসকে (পিবিএম) ২০ লাখ, হাজী আবু তৈয়বের এইচটিএম ব্রিকসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোয়াজ্জেম হোসেন দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা ও কর্ণফুলী নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হয়েছে। নদী কমিশনের রির্পোট অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর দখলকৃত জায়গা অবমুক্ত করার জন্য ও পবিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ও মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম চালিয়ে অর্থদ- ও অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাকি ইটভাটা গুলোতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট