চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কুখ্যাত জলদস্যু ও ইয়াবা কারবারি নিহত

বাঁশখালী ও টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা হ বাঁশখালী ও টেকনাফ

২৭ জানুয়ারি, ২০২০ | ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর লটমনি পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৯ মামলার আসামি জলদস্যু মোরশেদ আলম (৩৫) নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে। তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ওয়ান সুটার গান, ১টি থ্রি হুলার (এলজি), ১৯ রাউন্ড গুলি এবং ৩টি রামদা উদ্ধার করা হয়। নিহত মোরশেদ আলম চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ২নং ওয়ার্ডের মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।

পুলিশ খরব পেয়ে মোরশেদ আলমের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় র‌্যাব-৭ এর দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল হক বাদি হয়ে অস্ত্র ও খুনের দায়ে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেছেন।
র‌্যাব-৭ জানায়, সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম লটমনি পাহাড়ি এলাকায় ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতির জন্য অবস্থান করছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা অভিযানে যায়। র‌্যাবের অবস্থান টের পেয়ে ডাকাত দল এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে, র‌্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ছুড়লে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ মোরশেদ আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে জলদস্যুতা, খুন, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৯টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
র‌্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) এএসপি মোহাম্মদ তারিক আজিজ বলেন, র‌্যাবের টহল দল বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গেলে ডাকাত দল অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ডাকাতরা র‌্যাব সদস্যদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে জলদস্যু মোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
টেকনাফ সংবাদদাতা জানান, টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ‘মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল (রবিবার) ভোররাতে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজারের পূর্বে নাফ নদীর কিনারা সংলগ্ন লবণ মাঠে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর একদল মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের উপস্থিতি টের পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করলে পুলিশের এএসআই অহিদ উল্লাহ (৪০), কনস্টেবল আব্দুর শুক্কুর (২৩) ও মো. হেলাল (৩৩) আহত হন। ্এ সময় পুলিশও

আত্মরক্ষার্থে বেশ কিছুক্ষণ গুলিবর্ষণ করলে মাদক কারবাবিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ৩টি দেশীয় অস্ত্র, ১২ রাউন্ড খোসা ও ১৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ গুলিবিদ্ধ একব্যক্তিতে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারি গ্রুপের সদস্য হোয়াইক্যং পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার জালাল আহমদের পুত্র মো. নাসির ওরফে মুন্নাকে (৩০) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট